Nawsad Siddique: নওশাদের মুক্তি না হলে….মমতার নাম শুনলেই ক্ষিপ্ত ফুরফরা শরিফ

ফুঁসছে ফুরফুরা শরিফ। কলকাতায় বাম ঘনিষ্ঠ আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddique) গ্রেফতারি ও তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি এই ধর্মীয় কেন্দ্রের পীর ও পীরজাদাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি করেছে।

mamata banerjee muslim

ফুঁসছে ফুরফুরা শরিফ। কলকাতায় বাম ঘনিষ্ঠ আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddique) গ্রেফতারি ও তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি এই ধর্মীয় কেন্দ্রের পীর ও পীরজাদাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি করেছে। পরিস্থিতি এমনই যে ফুরফুরায় (Furfura Sharif) এখন আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম করেই বিভিন্ন মন্তব্য করে চলেছেন পীর-পীরজাদারা।

তাঁদের হুঁশিয়ারি, নওশাদ রাজনীতি করে। তবে সে সাধারণ মানুষের হয়ে রাজপথে নেমেছিল। সে একজন পীরজাদা। তাকে যেভাবে রাস্তা দিয়ে হিঁচড়ে টেনে অপমানিত করা হয়েছে তা মমতার নির্দেশ ছাড়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। যদি ১ ফেব্রুয়ারি নওশাদকে মুক্তি না দেওয়া হয় তাহলে সরকার যেন তৈরি থাকে।

   

ফুরফুরা শরিফ মুসলিমদের জন্য। তবে এর শিষ্য অনেক হিন্দু আছেন। তারা এমন পীরজাদার অপমান মেনে নেবেন না বলেই অনবরত হুঁশিয়ারি আসছে বাকি পীরজাদাদের তরফে। কেউ কেউ সরাসরি বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন আরএসএস। অনেকের দাবি, তিনি একসময় ফুরফুরায় এসে সমর্থন চেয়েছিলেন। ফুরফুরার সমর্থন না থাকলে মমতার পক্ষে সরকার গড়া সম্ভব হত না। তিনি কী করে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর উপর পুলিশের ‘জুলুম’ বরদাস্ত করলেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের আরাবুল ইসলামের প্রতিও ফুরফুরা শরিফের ক্ষোভ তুঙ্গে। তাকেও নিশানা করে রেখেছে ফুরফুরা শরিফ। অভিযোগ, শিক্ষিত নওশাদ সিদ্দিকীর মতো মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের রাজনীতি করতে বাধা দিতে মমতা প্রশাসন আরাবুলকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। সরাসরি হুঁশিয়ারি, ভাঙড় সহ পুরো দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার মুসলিম ভোটে এর ফল বুঝতে পারবেন মমতা। তিনি মুখে বিজেপির বিরুদ্ধে বললেও ভিতরে আরএসএসের নির্দেশে কাজ করেন।