শীতের শুরুতেই ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

Bengal Weather

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে মৌসুমি বৃষ্টিপাত (weather update) ও তাপমাত্রার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শীতকালীন মৌসুম শুরু হলেও, এর মধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাত (weather update) এবং তাপমাত্রার ওঠানামা অনেক অঞ্চলে প্রভাব ফেলছে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের আবহাওয়া (weather update) পরিস্থিতি।

Advertisements

উত্তর ভারত এখন শীতকালীন মৌসুমের (weather update) দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই সময়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমে গিয়েছে। দিল্লিতে বর্তমানে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে এবং হাওয়া ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে, পশ্চিম ভারতের রাজস্থান অঞ্চলে একটি নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা সৃষ্টি হওয়ার কারণে উত্তরের আকাশে হাওয়ার গতি এবং বৃষ্টিপাতের (weather update)  পরিস্থিতি বদলে গেছে।

   

জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে সম্প্রতি এক নতুন তুষারপাতের কারণে তাপমাত্রার মধ্যে পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলের আবহাওয়া (weather update)  আরও শীতল হয়ে উঠেছে এবং সেখানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু কাশ্মীরের উচ্চ এলাকা এবং মালভূমি এলাকায় তুষারপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি জেলা এখন বিপদজনক আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়েছে। এর সাথে সাথে, পাঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের ২০টি জেলার জন্য আবহাওয়া পরিবর্তন এবং দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ার কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

দক্ষিণ ভারতে বর্তমানে পূর্বনির্ধারিত মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক অঞ্চলে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে তামিলনাড়ু, কেরাল, পুদুচেরি, করাইকল, ও মহীলে গত কয়েকদিন ধরে প্রবাহিত হওয়া বৃষ্টি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে। শনিবার কেরালায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, এবং তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এই পরিস্থিতি আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (IMD) জানিয়েছে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চেন্নাই, তিরুভানন্তপুরম, কর্ণাটকের অন্তর্গত কিছু জেলা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায়, বেঙ্গালুরুতে ধারা বৃষ্টির ফলে শহরের বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে, এবং জনজীবন কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তামিলনাড়ু এবং কেরালা অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে জলাবদ্ধতা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে, উপকূলীয় এলাকাগুলিতে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সেখানকার মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তামিলনাড়ুর কিছু অংশে গত শনিবারে বৃষ্টি ১২০ মিলিমিটার পেরিয়ে গিয়েছে, যার ফলে কৃষিকাজ এবং সাধারণ চলাচলে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisements

উত্তর ভারতের পাঞ্জাব, দিল্লি, এবং হরিয়ানা অঞ্চলে শীতকালীন তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। এর সাথে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে তাপমাত্রার বড় পরিবর্তন হতে পারে। এমনকি ঘন কুয়াশার কারণে সকাল বেলা সড়কযাত্রা, রেল যোগাযোগ এবং বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে এ বিষয়ে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সাথে সাথে, দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেরালাতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কেরালায় আবারও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে শক্তিশালী ঝড় এবং ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে সেখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে এবং কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন রাজ্যগুলির আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটাই জটিল হয়ে পড়েছে। তাই আবহাওয়া দপ্তর কর্তৃক দেওয়া সতর্কতা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, যাতায়াতের ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করা এবং সড়ক, রেল ও বিমান চলাচলে ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এছাড়াও, দক্ষিণ ভারতে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।