শনিবার সকালে নন্দকুমারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় তিনজনের প্রাণ গেছে। কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়া একটি ভাড়া গাড়ি জাতীয় সড়ক ১১৬-এ তমলুকের কুমরগঞ্জ এলাকায় তেল ট্যাঙ্কারের পিছনে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়, একজন গুরুতর আহত। গাড়িতে চারজন রোগী ও চালক ছিলেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নন্দকুমার থেকে রাধামনির দিকে যাওয়ার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা ট্যাঙ্কারে সজোরে ধাক্কা মারে। মৃতদের মধ্যে চালক সুদীপ মাইতি রয়েছেন, বাকিদের পরিচয় মেলেনি। গাড়িতে থাকা পাঁচজনের মধ্যে এক মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তমলুক থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
সুদীপের জামাইবাবু স্নেহাংশু বেড়া বলেন, “থানা থেকে খবর পাই। সুদীপ আমার শ্যালক গাড়ির মালিক। চারজন রোগী নিয়ে কলকাতা যাচ্ছিল। চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারায়, তারপর ট্যাঙ্কারে ধাক্কা মারে। ও প্রায় ২০ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছিল, কলকাতায় যাতায়াত ছিল নিয়মিত।” প্রাথমিক তদন্তে চাকা ফেটে যাওয়াকেই দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। পুলিশ জানায়, ট্যাঙ্কারের চালক পালিয়েছে, তাঁর খোঁজ চলছে। এলাকাবাসী জানান, সড়কে ট্যাঙ্কার দাঁড়িয়ে থাকা ঝুঁকি বাড়ায়। এ ঘটনা সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে, নিহতদের পরিবারে শোকের ছায়া।