গুলিবিদ্ধ জখম তৃণমূল কর্মীর মৃৃত্যু (Naihati Murder) হলো রবিবার।নৈহাটির শিবদাসপুরের বাসিন্দা জাকির হোসেনকে শনিবার গুলি করা হয়েছিল। রক্তাক্ত জাকিরের কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল।রবিবার তিনি মারা যান। তাঁর বুকে, পেটে ও হাতে গুলি লাগে বলে জানা গেছে।
দিন কয়েক আগেই কাঁকিনাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানুতোর শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নৈহাটিতে খুন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন জাকির হোসেন ও ইউসুফ আলি মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। সেই সময়ে বাইরে করে উপস্থিত হয় ৪ থেকে ৫ জন দুষ্কৃতি। কয়েক রাউণ্ড গুলি চলার পর বোমাবাজি শুরু হয়। তৃণমূলের দাবি, আহত ৩ জনের মধ্যে ২ জন তৃণমূল কর্মী। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম জন ২ জন।
পুলিশের দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই হামলা চালানো হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরেও বাঁচানো যায়নি জাকিরকে। এর পিছনে মাদক চক্রের কারবার যুক্ত রয়েছে ও একজন নাবালকের নেতৃত্বে কীভাবে চলল হামলা এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, দুষ্কৃতিরা মনে করছে এটা আমাদের রাজত্ব, এটা আমাদের সরকার, এটা আমাদের পুলিশ। দুষ্কৃতিদের মাথার ওপর হাত পুলিশের।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের গৃহযুদ্ধের কারোনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলা। একজন নাবালকের সঙ্গে পুস্তক থাকার কথা, এখন বোমা রয়েছে। এখন রাজ্য সরকার বোমা শিক্ষা চালাচ্ছে।