কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্য পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত আয়োজকদের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অনুমতি চাওয়া হয়নি। তবুও সম্ভাব্য উত্তেজনা এড়াতে কলকাতা পুলিশ শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে (Nabanna march traffic restrictions)।
লালবাজার সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিদ্যাসাগর সেতু, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, হাইড রোড, আরআর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, এমজি রোড, ব্র্যাবোর্ন রোড ও হাওড়া সেতুসহ টার্ফ ভিউ রোড, হেস্টিংস মাজার, ফারলং গেট এবং খিদিরপুর রোডে কড়া নজরদারি থাকবে।
বারিকেড, কন্টেনার, জলকামান প্রস্তুত
অশান্তি এড়াতে শহরের নানা প্রান্তে পুলিশ মোতায়েন বৃদ্ধি করা হয়েছে। বহু জায়গায় স্টিলের ব্যারিকেড, কন্টেনার ও অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডওয়াল বসানো হয়েছে। রাস্তায় ‘আইন ভাঙবেন না’, ‘শান্তি বজায় রাখুন’ পোস্টার টাঙানো হয়েছে। জলকামানের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
পুলিশের বার্তা: শান্তিপূর্ণ মিছিলেই আপত্তি নেই
শুক্রবার নবান্ন অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার, কলকাতা ও হাওড়ার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং প্রবীণ ত্রিপাঠি। জাভেদ শামিম বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলের ক্ষেত্রে পুলিশের কোনও আপত্তি নেই।
এডিজি সুপ্রতীম সরকার জানান, নবান্নের আশেপাশে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে, ফলে সেখানে কোনও জমায়েত করা যাবে না। মন্দিরতলা বাসস্ট্যান্ড, বঙ্কিম সেতুর নিচে ও হাওড়া ময়দানে সীমিত সংখ্যক (মোট ১২০০) মানুষ মিছিল করতে পারবেন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশমতো বিকল্প জায়গা হিসাবে সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ড নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।
কী ঘটেছিল?
২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় জুনিয়র চিকিৎসকের মৃতদেহ। এই ঘটনায় একমাত্র ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে নিম্ন আদালত। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা-মার বক্তব্য, হাসপাতালের ভেতরে এমন নৃশংস ঘটনার পিছনে একা ওই সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, আরও অনেক জড়িত আছে৷ তাঁদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন৷