‘মাকু’দের নেতৃত্ব ভেস্তে দিয়েছে নবান্ন অভিযান, কটাক্ষ শুভেন্দুর

Advertisements চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের নবান্ন অভিযান আজ ফের অসম্পূর্ণ থেকে গেল (Suvendu)। বৃষ্টিভেজা রাস্তায় পুলিশের বাধা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়েও শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা…

Suvendu slammed leftfront

Advertisements

চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের নবান্ন অভিযান আজ ফের অসম্পূর্ণ থেকে গেল (Suvendu)। বৃষ্টিভেজা রাস্তায় পুলিশের বাধা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নানা প্রতিকূলতা পেরিয়েও শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন না। পরিবর্তে তাঁরা হাওড়ার শিবপুরে পুলিশ লাইনে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

   

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) তীব্র সমালোচনা করে দাবি করেছেন, এই অভিযানের ব্যর্থতার পিছনে রয়েছে আন্দোলনের মধ্যে মিশে থাকা ‘মাকু’ মনোভাবাপন্ন বামপন্থীদের হস্তক্ষেপ।শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu)সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে বলেন, “আজ আবার আপনাদের নবান্ন অভিযান অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। বৃষ্টি-বাদলের দিনে কষ্ট করে নবান্নে পৌঁছানোর চেষ্টা করেও মুখ্যমন্ত্রীর বদলে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলতে হল, তাও হাওড়া পুলিশ লাইনে!”

তিনি এই ব্যর্থতার জন্য আন্দোলনের মধ্যে থাকা বামপন্থী মনোভাবাপন্ন নেতৃত্বকে দায়ী করেছেন। তাঁর মতে, এই ‘মাকু’ মনোভাবের লোকজন আন্দোলনের রাশ ধরে রেখে তা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, এর আগে ‘আর জি কর’ আন্দোলনও এই ধরনের হস্তক্ষেপের কারণে ব্যর্থ হয়েছিল।

শুভেন্দু (Suvendu) আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো করে জানেন কীভাবে মিথ্যা আশ্বাস আর ধোঁকা দিয়ে আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে হয়। এই কাজে তাঁর হাত শক্ত করছে আন্দোলনের মধ্যে মিশে থাকা এই ‘মাকু’ মনোভাবাপন্ন লোকজন।” তিনি চাকরিহারা শিক্ষকদের এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আন্দোলনের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তাঁর পরামর্শ, “রাষ্ট্রবাদীদের সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক পথ বেছে নিন। বিজেপি আপনাদের পাশে আছে, আপনারা এই লড়াইয়ে একা নন।”চাকরিহারা শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এই আন্দোলন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) নিয়োগে কথিত দুর্নীতির কারণে চাকরি হারানো শিক্ষকদের কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল।

তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর (Suvendu)সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে তাঁদের দাবি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নবান্নের চারপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পুলিশের বাধার কারণে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারেননি। পরিবর্তে, মুখ্যসচিবের সঙ্গে হাওড়া পুলিশ লাইনে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়, যা আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

পুতিনের মাথাব্যথার কারণ রাশিয়ার ‘অভিশপ্ত’ বিমানবাহী রণতরী, এবার মুক্তি পাওয়ার সময় এসেছে

শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu)এই মন্তব্য রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তৃণমূলের তরফ থেকে এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে , তারা বলেছে “শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। রাজ্য সরকার চাকরিহারা শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে নিয়োগের ব্যাপারে কথা বলছে।” তিনি বিজেপির এই মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক স্বার্থে’র অংশ বলে অভিহিত করেন।

অন্যদিকে, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একাংশ শুভেন্দুর (Suvendu)এই মন্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, আন্দোলনের মধ্যে বাইরের হস্তক্ষেপ তাঁদের লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। তবে, বামপন্থী নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা শিক্ষকদের পাশে আছি, কিন্তু বিজেপি এই আন্দোলনকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনের গতিপথ এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। আন্দোলনের ভবিষ্যৎ এবং শিক্ষকদের দাবি পূরণে সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়ে উঠছে।