কৃষ্ণনগরের তরুণীর রহস্যমৃত্যু বিচ্ছেদের পরিণতি নাকি পরিকল্পিত খুন?

বয়ফ্রেন্ড রাহুলের সাথে ঝামেলা, সম্পর্কের বিচ্ছেদের অবসর থেকেই চরম সিদ্ধান্ত? অথচ পোড়া শরীর জুড়ে কেরোসিনের গন্ধ। সেই কেরোসিন এল কোথা থেকে? কেরোসিনের ভেজা শরীরে অগ্নিসংযোগ…

বয়ফ্রেন্ড রাহুলের সাথে ঝামেলা, সম্পর্কের বিচ্ছেদের অবসর থেকেই চরম সিদ্ধান্ত? অথচ পোড়া শরীর জুড়ে কেরোসিনের গন্ধ। সেই কেরোসিন এল কোথা থেকে? কেরোসিনের ভেজা শরীরে অগ্নিসংযোগ এর জন্য দেশলাই টাই বা কোথায়? কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) মৃত তরুণী দেশলাই বা কেরোসিন কি নিজে কিনেছিলেন? কিনলে কোথা থেকে কিনলেন? কোথায় গায়ে ঢাললেন কেরোসিন? সেই কেরোসিনের বোতলই বা কোথায়?

এবার ঘটনাস্থলের আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করল কৃষ্ণনগরের পুলিশ এবং বিশেষ তদন্তকারী টিম। একাধিক বিষয়ে ধোঁয়াশা। তবে বিশেষ বন্ধু রাহুল স্বীকার করেই নিয়েছেন, সেদিন রাতে কার্যত মিনিট ধরে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয় এবং সেখানেই বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তাহলে কি সেখান থেকেই অবসাদ? এবং ফেসবুকে রীতিমতো পোস্ট করে তারপরে এই মারাত্মক পরিণতি বেছে নিলেন তরুণী?

   

নাকি পেছনে রয়েছে অন্য কোন ভয়ংকর ঘটনা? মৃত তরুণী এবং অভিযুক্ত রাহুলের টাওয়ালিশন যেমন একদিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।, তেমনি বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে ঘটনার দিন তরুণীর রাতের গতিবিধি লক্ষ্য করা হচ্ছে। পুলিশ মনে করছে টাওয়ার লোকেশন এবং এই সিসিটিভি ফুটেজ এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ঘটনার আসল রহস্য! কেরোসিন দেশলাই কোথা থেকে পেলেন তরুণী? নাকি তাকে জোর করে গায়ে আগুন দেওয়া হয়েছিল?

তাহলে কি সে ক্ষেত্রে ফেসবুক পোস্ট কার্যত ফোন কেড়ে নিয়েই করা হয়েছিল যাতে গোটা ঘটনাটাকে আত্মহত্যা বলে দেখানো যায়? কোন সম্ভাবনাই কার্যত উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত রাহুল অবশ্য পরিষ্কার দেয় অস্বীকার করছেন। এবং সে ক্ষেত্রে তরুনীর অতীত ইতিহাস কে বারবার সামনে নিয়ে আসতে চাইছেন রাহুল এবং রাহুলের পরিবার।

অপরদিকে অভিযুক্ত রাহুলকে নিয়েও রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে আর জি কর ইস্যুতে বিভিন্ন আন্দোলন এবং কি রাত জাগার কর্মসূচিতে বারবার দেখা গিয়েছে রাহুলকে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক তরজার কেন্দ্রস্থলে এখন কৃষ্ণনগরের এই ঘটনা। আরজিকর আবহের মধ্যে যা নিয়ে কার্য তো কোনরকম রিক্স নিতে চাইছে না, প্রশাসন এবং রাজ্যের শাসক দল। ওটা বিষয়টাতে কোনরকম অভিযোগের আঙুল যাতে না ওঠে তাদের দিকে, তার জন্য প্রথম থেকেই আট ঘাট বেটে কাজ করতে চাইছেন পুলিশ প্রশাসন। তবে রহস্য ভেদ কতদিনে হয় এবং কত দিনে আসল কাহিনী সামনে আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়।