কংগ্রেস ছেড়ে বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস (Byron Biswas) তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর সাগরদিঘি (Sagardighi),সরগরম। স্থানীয় কংগ্রেস সমর্থকরা বিধায়কের ছবিতে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করছেন। দুপুরের পর থেকেই মুর্শিদাবাদ (murshidabad) জেলা সরগরম।
সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে বাইরন বিশ্বাস জয়ী হন। তবে তিন মাসের মাথায় এই বিধানসভা ফের তৃনমূলের দখলে। কংগ্রেস ত্যাগের পর বাইরন বিশ্বাস জানান, তিনি বরাবর তৃণমূলেই ছিলেন।
বাইরনের দলত্যাগের পর থেকে সাগরদিঘিতে চড়ছে ক্ষোভ। স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি বিধায়ককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন এবার দেখব কী করে জয়ী হয়। বিশ্বাসঘাতক বইরন দূর হটো, সাগরদিঘিতে তোমার স্থান নেই বলে কংগ্রেস সমর্থকরা স্লোগান দেন।
বাইরন বিশ্বাস টিএমসিতে যোগ দেওয়ার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী সাংবাদিক সম্নেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অধীর চৌধুরী বলেছেন, মানুষের রায়কে মেনে নেওয়ার ক্ষমতা তৃণমূল নেত্রীর নেই। মানুষের রায়কে পদদলিত করে তৃণমূল নেত্রী জয়ী হওয়ার চেষ্টা করেন। এক মাঘে শীত যাবে না। যে খেলা তিনি খেলছেন, সেই খেলা দিদিকে একদিন ধংস করবে।
আর তৃ়ণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বাইরন বিশ্বাস সরাসরি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন। বাইরন বলেছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে বেশি কিছু বলেন না অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধীর চৌধুরী অনেক আক্রমণ শানান। শাসকদলে না থাকলে কাজ করা যায় না। কংগ্রেসে থেকে কাজ করা যাচ্ছিল না বলে দলত্যাগের সাফাই দিয়েছেন বাইরন বিশ্বাস।