মদনবাণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুকান্তকে কোন বিশেষ বার্তা দিলেন ‘পাগলু’?

রাজনৈতিক এবং সিনে দুনিয়ার সহকর্মী সোহম চক্রবর্তীকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্কে মুখ খুলেছিলেন দেব (Actor Dev)। বন্ধু সোহমের কড়া সমালোচনা করতে ছাড়েননি! ফলও পেয়েছেন হতেনাতে! তৃণমূলের…

MP and Actor Dev Sends Special Message to BJP Minister Sukanta Majumdar, Praises Madan Mitra

রাজনৈতিক এবং সিনে দুনিয়ার সহকর্মী সোহম চক্রবর্তীকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্কে মুখ খুলেছিলেন দেব (Actor Dev)। বন্ধু সোহমের কড়া সমালোচনা করতে ছাড়েননি! ফলও পেয়েছেন হতেনাতে! তৃণমূলের রঙিন নেতা তথা কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) একেবারে পাল্টা দাদাগিরির অভিযোগ এনেছেন দেবের বিরুদ্ধে। দলীয় ব্যপারে বেশি নাক না গলাবার সাজেশানও দিয়েছেন তিনি।

কিন্তু ২০২৪ এর লোক সভার প্রচারপর্বের শুরু থেকে যেভাবে সৌজন্যতার উদাহরন তৈরি করেছেন দেব, নির্বাচনের পরেও সেই ধারা অটুট রাখতে মরিয়া টলিউডের এই সুপারস্টার সাংসদ। আর তাই বিপক্ষের সাংসদের মন্ত্রীপদে দায়িত্ব নেওয়ার দিন, শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে বিন্দুমাত্র কৃপণতা করেননি তিনি !

যদিও এই খোলা গলায় উদার মানসিকতা দেখাতে গিয়ে এর আগেও ‘সলিড কেস’ খেয়েছিলেন দেব! শুভেন্দু-মিঠূনের গদ্দার প্রসঙ্গই হোক বা বালুরঘাটের প্রচারে গিয়ে বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে ‘ভালোমানুষ’এর দরাজ সার্টিফিকেট দেওয়া, সৌজন্যতার রাজপথে মাথা উচু করে হাঁটতে গিয়ে নিজের দলের অন্দরেই প্রবল সমালোচিত হতে হয়েছে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে!

কিন্তু সিনেমার মতই বাস্তবের রাজনীতির ‘চ্যালেঞ্জ’কে পাত্তা না দিয়ে দেব যে তার সৌজন্যতার ‘দাদাগিরি’ চালিয়েই যাবেন, সেটাই বোধহয় তার এখন প্রধান লক্ষ্য! আর তাই এবার বঙ্গ থেকে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ‘ভালোমানুষ’ সুকান্তদাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি দেব! তবে লাঠি না ভেঙে সাপ মারার কাজটাও ভালোভাবেই করেছেন দেব।

বাংলার আবাস এবং ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে দাবির কথা প্রতিমন্ত্রীকে মনে করাতেও ভোলেননি এই তারকা সাংসদ! মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের সৌজন্যতায় বাংলার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির বরাদ্দ টাকা যথাযথ ভাবে পাওয়ার আশা যে তিনি রাখছেন তা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন দেব।

Advertisements

রাজনৈতিক মহলের মতে, বকেয়া বিতর্কে যেভাবে তার এক কথায় টাকা ছাড়ার কথা সাংবাদিকদের সামনে বলে নিজের ক্ষমতা জাহির করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিয়ে সৌজন্যতার খোঁচা দিতে ছাড়লেননা দেবও।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আগেই, এবার জানালেন সুকান্তকেও। কিন্তু সৌজন্যতার এই যাত্রাপথে দেবের গান্ধিগিরি কি বঙ্গের কেন্দ্রীয় বকেয়া সমস্যার সমাধান করতে পারবে? নাকি নিজের দলের মধ্যেই এই নরমপন্থী মানসিকতার জন্য আবার কোনও নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে, সেদিকেই তাকিয়ে বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।