মায়ের কামড়েই মৃত্যু তিন সন্তানের, মর্মান্তিক ঘটনা শিলিগুড়িতে

মায়ের (Mother’s) কামড়েই (bite) মৃত্যু তিন (three) সন্তানের! শিলিগুড়ির (Shiliguri) বেঙ্গল সাফারি পার্কে (Bengal Safari Park) গত সপ্তাহে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger) রিকা…

Royal Bengal Tiger

short-samachar

মায়ের (Mother’s) কামড়েই (bite) মৃত্যু তিন (three) সন্তানের! শিলিগুড়ির (Shiliguri) বেঙ্গল সাফারি পার্কে (Bengal Safari Park) গত সপ্তাহে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger) রিকা একসঙ্গে তিনটি শাবকের (cubs) জন্ম দিয়েছিল। আনন্দের খবরটি দ্রুত শোকের স্রোতে পরিণত হয়, কারণ কিছুদিনের মধ্যেই দুর্ঘটনায় ওই তিনটি সদ্যজাত শাবক গুলির মৃত্যু হল।

   

পার্কের সূত্রে জানা যায়, শাবকগুলিকে তাদের নিরাপদ খাঁচায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মায়ের অসাবধানতায় একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। মা বাঘ রিকা শাবকগুলোকে অন্যত্র সরাতে গিয়ে তাদের ঘাড়ে কামড় দেয়, যার ফলে শ্বাসনালী ফুটো হয়ে যায়। এই ক্ষতির কারণে একে একে মৃত্যু হয় তিনটি শাবকেরই। বিশেষজ্ঞদের মতে, মায়ের কামড়ের কারণে শাবকগুলোর শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এই কারণে তাদের মৃত্যু ঘটে।

এর আগে ২০২৩ সালে সাদা বাঘ কিকারও একইভাবে তার দুই শাবককে হারিয়েছিল। সেসময়ও শাবকগুলির মৃত্যু একটি অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনার ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। একের পর এক এই ধরনের ঘটনা বেঙ্গল সাফারি পার্কের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিচ্ছে, এবং কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এমন ঘটনার পর, সাফারি পার্কের কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে, বন দফতরের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই নীরবতা শঙ্কা তৈরি করছে, বিশেষ করে তাদের ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা নিয়ে। পার্কে বাঘের সুরক্ষা ও পরিচর্যার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট নয়, এবং এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

এদিকে, বেঙ্গল সাফারি পার্কে প্রাণী সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেঙ্গল সাফারি পার্কে বাঘের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা উচিত। শুধু বাঘ নয়, সমস্ত প্রজাতির প্রাণীর জন্য আরও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে না পারে।এই ঘটনার পর সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা শীঘ্রই এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বিবৃতি দিতে পারেন কিনা, তা এখন দেখার বিষয়।