পুলিশি তল্লাশিতে মা ও ছেলে আটক, উদ্ধার বিপুল পরিমাণ মাদক

বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগার পাচার (Drug Seizure) করতে গিয়ে ধরা পড়লো মা এবং ছেলে। এটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার কাছে, ওমরপুর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের…

Mother and Son Arrested in Police Raid, Large Quantity of Drugs Seized

বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগার পাচার (Drug Seizure) করতে গিয়ে ধরা পড়লো মা এবং ছেলে। এটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার কাছে, ওমরপুর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের আশপাশে। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে পুলিশ জানতে পারে, দুই ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগার পাচারের জন্য সেখানে যাচ্ছিল। তারা যথাসময়ে তল্লাশি শুরু করে এবং বাসে ওঠার আগেই তাদের আটক করে ফেলে।

দেখা যায়, মা হাতে ব্যাগ নিয়ে আর ছেলে তার পাশে হাঁটছিল। তাদের মধ্যে কিছুই অস্বাভাবিক ছিল না। সাধারণভাবে দেখে মনে হয়েছিল, তারা বাস ধরতে যাচ্ছিল। যখন ব্যাগটি খুলে তল্লাশি করা হল, তখন চক্ষু ছানাবড়া হয়ে গেল। ব্যাগে পাওয়া গেল ৫৮২ গ্রাম ব্রাউন সুগার, যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।

তদন্তকারীরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করলে দেখা যায়, যুবকের ব্যাগে ২৬৭ গ্রাম ব্রাউন সুগার এবং মহিলার ব্যাগে ৩১৩ গ্রাম ব্রাউন সুগার রয়েছে। এতে বাজারমূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা। এই ব্যাপারে আরও তদন্ত করা হচ্ছে কারণ তারা ব্রাউন সুগার কোথায় পাচার করতে যাচ্ছিল, বা তাদের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত ছিল কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ধৃতদের নাম মানোয়ারা বিবি এবং রকি শেখ। তারা মা ও ছেলে এবং লালগোলার মাছবাজারের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, তারা সম্ভবত উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল। তবে তাদের পাচারের উদ্দেশ্য বা পাচারের পরিসর নিয়ে এখনও অনেক অজ্ঞতা রয়ে গেছে। পুলিশ এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে।

Advertisements

এই ধরনের পাচারকারীদের ধরা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য একটি বড় সাফল্য। ব্রাউন সুগারের মতো মাদক দ্রব্যের পাচার সমাজে এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে যুব সমাজ বিশেষভাবে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করবে এবং তদন্তের মাধ্যমে এই অপরাধের নেপথ্যের কারিগরদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করবে।

রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার তাদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় আরও অনেক তথ্য উদ্ধার করার প্রয়োজন রয়েছে, কারণ মাদক পাচারের ঘটনায় অনেক সময় বহু মানুষ জড়িত থাকে। পুলিশ তাদের জেরা করার মাধ্যমে আরও বড় একটি রাঘববোয়ালকে ধরতে সক্ষম হতে পারে। এমনটাই মনে করছে এলাকার মানুষজন।