বিজেপির ‘ভূতুরে বুথ-কর্মী’ কারা? রহস্য় উন্মোচনে জারি চর্চা

ভোটের জন্য বরাদ্দ তহবিলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ বিজেপির ( West Bengal Bjp) ভেতর থেকে বিগত কয়েকদিন ধরেই উঠেছে। লোকসভা ভোটে হতাশাজনক ফলাফল হতেই টাকা নয়ছয়…

ভোটের জন্য বরাদ্দ তহবিলের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ বিজেপির ( West Bengal Bjp) ভেতর থেকে বিগত কয়েকদিন ধরেই উঠেছে। লোকসভা ভোটে হতাশাজনক ফলাফল হতেই টাকা নয়ছয় নিয়ে দলীয় কর্মীদের কাঠগড়ায় তোলেন কৃষ্ঞনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় (Amrita Roy)। তারপর দলের প্রচারের টাকা নয়ছয় নিয়ে নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির দৃশ্যও দেখেছে বারুইপুর। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরকে। আর সেইসমস্ত বিষয় নিয়েই দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে জোরকদমে।

দলের নেতাদের অভিযোগ বরাদ্দ টাকার সিংহভাগই পৌঁছায়নি সংগঠনের নিচুস্তরে। ফলে তৃণমূলস্তরে অর্থ্যাত্ বুথস্তরে কার্যকলাপ অনেকটাই আশানুরূপ হয়নি বলেই দাবি তাঁদের। যদিও খাতায়-কলমে বুথের নাম থাকলেও বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্ব ছিল না। ফলে বুথের জন্য বরাদ্দ একটা মোটা অঙ্কের টাকা দলের একাংশের ‘পকেটস্থ’ হয়েছে বলেই জোর সওয়াল উঠেছে মুরলীধর সেন স্ট্রিটের রাজ্য বিজেপির দফতরে (West Bengal BJP)।

   

মমতার কৌশলী চালে চিন্তা বাড়ল মোদীর!

আবার কেন্দ্রীয়ভাবে ‘বুথ সশক্তিকরণ অভিযান’ নামে যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল তাতে বাস্তবে দেখা যায় অধিকাংশ বুথেই বিজেপির কোনও অস্তিত্ব ছিল না। এমনকি রাজ্যের ৮০ হাজার বুথের ৭০ শতাংশেই বুথ নেতা-কর্মীদের অভাব স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। যারজেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দলীয় সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির কাজ। ভোটের সময় বেকায়দায় পড়ে স্থানীয়দের পারিশ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হয়েছিল। তারফলে ‘অলিখিত’ এই টাকা ছড়ানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু এই ‘ভূতুরে বুথ কোথায় কোথায় ছিল এবং কারা ছিল এই ভূতুরে বুথ’ কর্মী? তা নিয়েও  প্রশ্নে জেরবার বিজেপির অন্দরমহল। 

বাংলায় তালিবানি শাসনের ছবি! প্রেমের সম্পর্কে চোপড়ায় মহিলাকে ভয়াবহ প্রহার

আবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব টাকার হিসেব চাইলে তখন ‘যেমন করে হোক’ টাকার হিসেব দেখিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। ফলে যা হওয়ার ফলাফল তাই হয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি ও সাংগঠনিক দুর্বলাতাই এই হতাশাজনক ফলাফলের কারণ হয়ে দেখা দেয়। সম্প্রতি রাজ্যে ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে এই বিষয় আলোচনাও হয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে।

এছাড়াও দলের ভেতর নব্য-পুরোনও দ্বন্দে পুরনো কর্মীরা প্রচারেই যাননি। তাঁদের সাংগঠিক ও জনসংযোগের বিষয়টি ব্রাত্য থাকায় বড় ধাক্কা খেয়েছে দল। তবে আগামী দিনে যাতে এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি আর না হয় সেদিকেই নজর রাখছে শুভেন্দু-সুকান্তরা (Subdhendu Adhikeri)। রাজ্য কমিটিতেও এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তাই দলের ভেতর ‘ভূত’ তাড়াতে এবার কোন ওঝা ডাকা হয়,এখন সেদিকেই তাকিয়ে গেরুয়া শিবির।