বিহারের রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে নতুন বিতর্ক। প্রয়াত মাকে নিয়ে কুকথার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস ও আরজেডিকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই আবেগঘন বক্তব্যকেই হাতিয়ার করে পাল্টা মোদীকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
কী ঘটেছে?
ঘটনার সূত্রপাত বিহারের দ্বারভাঙায়। সমবায় সমিতির ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদী অভিযোগ তোলেন—রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে হওয়া এক কর্মসূচিতে তাঁর প্রয়াত মায়ের নামে কুকথা উচ্চারিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার মা রাজনীতির সঙ্গে কোনওদিন যুক্ত ছিলেন না। অথচ কংগ্রেস-আরজেডি তাঁকেও অপমান করতে ছাড়ল না। আমার মাকে নিয়ে কুকথা মানে দেশের কোটি কোটি মা-বোনকে অপমান করা।”
মোদী স্মৃতিচারণা করে আরও বলেন, “আমার মা শতবর্ষ পূর্ণ করে আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন। অসুস্থ হলেও কাজ করতেন। পয়সা জমিয়ে আমাদের জামাকাপড় কিনে দিতেন। মা দেবতার থেকেও বড়, সেই মায়ের অপমান আমি মেনে নেব না।” রাহুল ও তেজস্বীকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “রাজার ঘরে জন্ম নেওয়া রাজপুত্ররা দরিদ্র মায়ের সংগ্রাম কোনওদিন বুঝবে না।”
মহুয়ার পাল্টা আক্রমণ modi mother controversy mahua retorts
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এক্স-এ পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদ্রুপ করে ‘দিদি ও দিদি’ বলে ডাকছিলেন, তখন কি সেটা শালীন ছিল? সনিয়া গান্ধীকে কংগ্রেস বিধবা বা ‘জার্সি কাউ’ বলতে বাধেনি? শশী থারুরের স্ত্রীকে ৫০ কোটির গার্লফ্রেন্ড বলে অপমান করেছিলেন, তখন! সেগুলো কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ দিয়েই আসেনি?”
তাঁর কটাক্ষ, “এখন এসে আপনি অন্যদের মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ বলছেন—এটা কি মানা যায়?”
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
২০২১ সালের বাংলার ভোটের আগে মোদীর জনপ্রিয় স্লোগান ‘দিদি ও দিদি’ নিয়ে প্রবল বিতর্ক ছড়িয়েছিল। তৃণমূল শিবিরের অভিযোগ ছিল, এটি কেবল রাজনৈতিক কটাক্ষ নয়, নারী নেত্রীর প্রতি অসম্মান। সেই পুরনো প্রসঙ্গ আবার সামনে টেনে এনে প্রধানমন্ত্রীকেই পাল্টা আক্রমণে নেমেছেন মহুয়া।
সব মিলিয়ে, বিহারের মঞ্চ থেকে শুরু হওয়া এই বিতর্ক এখন নতুন করে দিল্লি থেকে কলকাতা পর্যন্ত রাজনৈতিক অঙ্গনকে তপ্ত করে তুলেছে।
West Bengal: A new political controversy erupted after PM Modi accused the Congress and RJD of insulting his late mother. TMC MP Mahua Moitra countered with a scathing attack, questioning Modi’s past remarks about other female political figures.