দলের অফিসিয়াল ফেসবুক লাইভে তখন প্রধানমন্ত্রী মোদী (Modi) গমগমে গলায় ‘‘বাংলা পরিবর্তন চায়। বাংলা উন্নয়ন চায়” ভাষণ চলছিল। বিজেপি সমর্থকরা ভাষণ শুনছিলেন। তাদেরই প্রশ্ন, মোদী তো বলেই চলে যাবেন। দলের যা হাল তাতে পরিবর্তন কেমন করে আনা সম্ভব?
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থেকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সরিয়ে বিজেপি সরকার আনার আহ্বান জানালেন মোদী। এটাই তার এবারের প্রথম নির্বাচনী আহ্বান। যদিও এর আগে আলিপুরদুয়ারে জনসভা করেছেন তিনি। তবে দুর্গাপুরের জনসভা হয়ে গেল রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার।
পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোনও লোকসভা আসন নেই বিজেপির। গত লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল এবং বর্ধমান-দুর্গাপুরে তৃণমূল জয়ী। এরপর দুই জেলায় বিজেপির সংগঠনে ধস নামে। সংগঠন যে দুর্বল তা বারবার স্পষ্ট করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন মোদীর সভায় ডাক না পেয়ে দিল্লি চলে যান। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে পরাজয়ের পর দিলীপ ঘোষ দনীয় অম্তর্ঘাত ইঙ্গিত করেছিলেন।
ছাব্বিসের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি শূন্য হবে এমন রাজনৈতিক বার্তা আগেই দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপি সমর্থকরা বলছেন, মমতার ব্যক্তিগত ইমেজ যতই কমুক তিনি ভোট রাজনীতিতে তুখোড়। তার বিরুদ্ধে দুর্বল সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে পরিবর্তন দুরাশা।
বিগত কয়েকটি নির্বাচনে দেখা গেছে, রাজ্যের পূর্বতন শাসকদল সিপিআইএমের ভোট ব্যাংকের সিংহভাগ বিজেপির দিকে ঘুরেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, সিপিআইএমের কোমর ভেঙে যাওয়া, নেতৃত্বহীনতায় হতাশ বাম সমর্থকরা বিজেপির পক্ষে ভোট দিতে শুরু করেছেন। সংগঠন না থাকলেও তাদেরই ভোটে পুষ্ট বিজেপি বর্তমানে বিধানসভায় বিরোধী দল।
বিজেপি সমর্থকরাও মানছেন এ কথা। তাদের বক্তব্য, সংগঠন খুবই দুর্বল। শুধু ধর্মীয় স্লোগান তুলে হিন্দি বলয়ের মতো পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারে বেশি লাভ হবে না। বাম ভোটারদের সমর্থন সরে গেলে হাতে হ্যারিকেন ধরে যাবে। যেমনটা ছিল কয়েকবছর আগে।