প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)আজ দমদম জেল ময়দানে এক জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, “কেন্দ্র থেকে যে টাকা পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়, তা তৃণমূল ক্যাডারদের পকেটে চলে যায়। আমি এটা হতে দেব না।”
তিনি বিশেষ করে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি প্রকল্প (এমজিএনআরইজিএ) বা ‘১০০ দিনের কাজ’ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, “এই প্রকল্পের টাকা গ্রামীণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর বদলে তৃণমূলের ক্যাডাররা লুট করছে।”
তিনি আরও বলেন, “তারপরেও তৃণমূল সরকার নির্লজ্জভাবে আরও টাকা দাবি করছে।” এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দমদম জেল ময়দানে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার উন্নয়নের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছে।
কিন্তু এই টাকা রাস্তা, হাসপাতাল, স্কুল বা গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে না। তৃণমূলের ক্যাডাররা এই টাকা লুট করছে।” তিনি ‘১০০ দিনের কাজ’ প্রকল্পের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, “এই প্রকল্প গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কথা ছিল। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা জাল জব কার্ড তৈরি করে এবং ভুয়ো শ্রমিকদের নামে টাকা তুলে নিয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই দুর্নীতি রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি বাংলার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কেন্দ্র থেকে যে টাকা আসবে, তা সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছাবে।
আমরা ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম এবং কঠোর নজরদারির মাধ্যমে দুর্নীতি বন্ধ করব।” তিনি তৃণমূল সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যারা জনগণের টাকা লুট করছে, তাদের ছাড়া হবে না।”
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। সম্প্রতি দমদম জেল ময়দানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের অপশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে বাংলাকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
দুর্নীতি, কাটমানি ও অত্যাচার— তৃণমূলকে একহাত নিলেন শুভেন্দু-শমীক
মোদীর এই বক্তব্য শুভেন্দুর সেই আহ্বানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, তৃণমূলের শাসনকালে রাজ্যে দুর্নীতি বেড়েছে, এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের অপব্যবহার হচ্ছে।