সুকান্ত গড়ে গো-হারা পদ্ম, তৃণমূলের চমকপ্রদ জয়

শনিবার বালুরঘাট এবং মালবাজারে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস। বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু অঞ্চলের কৃষি সমিতি নির্বাচনে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। সেখানেই বিরোধী…

TMCP Protests Erupt Around Mala Roy's Car at Jogesh Chandra Chowdhury Law College

শনিবার বালুরঘাট এবং মালবাজারে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস। বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু অঞ্চলের কৃষি সমিতি নির্বাচনে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। সেখানেই বিরোধী দল  বিজেপি ও বামরা কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হন। 

তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী হিসেবে বিভাসচন্দ্র বক্সি নতুন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষকদের স্বার্থে কাজ করব। ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেব। কৃষকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ঋণ পাবেন।’ চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করবেন তারা।

মালবাজারের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেওড়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের জয় আরও স্পষ্ট। এখানে চারটি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। সবক’টি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। বিজেপি সবক’টি আসন হারিয়েছে। তৃণমূলের কুমলাই অঞ্চল সভাপতি রাজা শর্মা বলেন, ‘আমরা বিজেপিকে গো-হারা হারিয়েছি।’

তৃণমূলের এই জয় রাজনৈতিক মহলে অনেক আলোচনা তৈরি করেছে। বিশেষ করে, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গড়েই এমন ফলাফল তৃণমূলের শক্তির প্রমাণ। বিজেপির নেতারা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। বিজেপির মাল বিধানসভার কনভেনর রাকেশ নন্দী বলেন, ‘ফলাফল পর্যালোচনা করা হবে। তবে আমাদের প্রার্থীরা কঠিন লড়াই করেছেন।’

তৃণমূলের এই জয় ক্ষমতার আসন্ন নির্বাচনগুলোকে সামনে রেখে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, বিধানসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে এই জয় বিজেপিকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা এই জয়কে উৎসবের মতো পালন করেছেন।

সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের এই ফলাফল রাজ্যের রাজনীতিতে একটি বড় বার্তা পাঠিয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তৃণমূলের নেতৃত্ব এখন আত্মবিশ্বাসী। পাশাপাশি, বিরোধী দলগুলোও নিজেদের অবস্থান পর্যালোচনা করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Advertisements

তৃণমূলের নির্বাচনী জয় শুধু একটি রাজনৈতিক কৌশল নয়, এটি তাদের জনসমর্থনের প্রকৃত ছবি তুলে ধরছে। বিশেষ করে, গায়ের মাঠের নির্বাচনে এই ধরনের জয়ের ফলে মানুষের কাছে এক নতুন বার্তা পৌঁছেছে। দলটির প্রচার এবং কাজের ধরন নতুন করে জনগণের মন জয় করেছে।

বিজেপি অবশ্য এই পরাজয়ের পর নিজেকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে। আগামী দিনগুলোতে তাদের কৌশল ও প্রচার আরও সক্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের জয়ের ধারাবাহিকতা তাঁদের শক্তির প্রমাণ হিসাবে থাকবে।

তৃণমূলের কর্মীরা জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে আনন্দে মেতে উঠেছেন। তাদের মধ্যে এক ধরনের উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। এতে দলের মনোবল আরও বেড়েছে বলে মনে করছেন তারা। তৃণমূলের জন্য এই জয় একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছে, যা তাদের নির্বাচনী কৌশল এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।