রথযাত্রার আগে দিঘায় ভিড়, ২০ লক্ষ টিকিট বিক্রি

আসন্ন রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সৈকত শহর দিঘায় (Digha) যেন উৎসবের ঢেউ। সদ্য নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে দিঘা এখন রাজ্যের অন্যতম ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।…

রথযাত্রার আগে দিঘায় ভিড়, ২০ লক্ষ টিকিট বিক্রি

আসন্ন রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সৈকত শহর দিঘায় (Digha) যেন উৎসবের ঢেউ। সদ্য নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে দিঘা এখন রাজ্যের অন্যতম ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। কলকাতা থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, এমনকি প্রতিবেশী রাজ্য থেকেও প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ছুটে আসছেন ‘জগন্নাথধাম’ দর্শনে।

এই মন্দিরটি গড়ে উঠেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ও সরাসরি তত্ত্বাবধানে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে মন্দিরটি উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শনার্থীদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়, তবে রথযাত্রাকে সামনে রেখে সেই উৎসাহ এখন রীতিমতো জনস্রোতে পরিণত হয়েছে।

   

ভিড় সামাল দিতে এবং যাতায়াতে সুবিধা করে তুলতে এনবিএসটিসি (NBSTC)-র তরফে বাস টিকিটে ২৫% ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার বাস টিকিট বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মুনাফা হয়েছে রাজ্য পরিবহণ সংস্থার। রথযাত্রার আগেই কলকাতা থেকে দিঘা যাতায়াতের সব টিকিট বুক হয়ে গিয়েছে।

দিঘার জগন্নাথধাম মন্দির এখন শুধুই দর্শন বা পূজার স্থান নয়, এটি হয়ে উঠেছে স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। মন্দিরকে কেন্দ্র করে হোটেল, রেস্তরাঁ, পরিবহণ, স্থানীয় হস্তশিল্প— প্রতিটি ক্ষেত্রেই চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আসন্ন দুর্গাপুজোতেও থাকছে বিশেষ প্যাকেজ ও অফার।

Advertisements

পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “ধর্মীয় পর্যটনের মাধ্যমে কীভাবে একটি শহরের অর্থনীতি ও সমাজ বদলে যেতে পারে, দিঘার জগন্নাথধাম তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এই উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসার যোগ্য।”

পর্যবেক্ষক মহলের মতে, জগন্নাথ মন্দির, সাগরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং ধর্মীয় আবেগ— এই তিনের মিলনে দিঘা পেয়েছে এক অনন্য রূপ। এর ফলে শুধু রাজ্যের নয়, সমগ্র দেশের ধর্মীয় পর্যটনের মানচিত্রে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে দিঘা।

রথযাত্রা আসতে এখন আর ক’টা দিন বাকি। তার আগেই দিঘার ‘জগন্নাথধাম’ হয়ে উঠেছে আধ্যাত্মিক ভক্তি, পর্যটনের উচ্ছ্বাস এবং অর্থনৈতিক গতি বৃদ্ধির এক কেন্দ্রবিন্দু। আগামী দিনে দিঘা রাজ্যের ধর্মীয় পর্যটনের ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, এমনই আশা করছে প্রশাসন ও পর্যটন মহল।