HomeWest Bengalদুই জেলার ম্যাপিং পিছিয়ে, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

দুই জেলার ম্যাপিং পিছিয়ে, প্রশ্নের মুখে প্রশাসন

- Advertisement -

খুব শীঘ্রই রাজ্যে শুরু হতে পারে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (Special Intensive Revision – SIR)। এমন ইঙ্গিত মিলতেই রাজনীতির অন্দরমহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই আবহেই ভোটার তালিকা (SIR) সংশোধনের প্রক্রিয়ায় ‘ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিং’-এর কাজ ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিশেষ করে রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে ঘিরে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা বাদ দিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বাকি ২১টি জেলায় ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। তবে সেই ম্যাপিং থেকে যে চিত্র উঠে এসেছে, তা মোটেই সন্তোষজনক নয়। বেশ কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলায় ভোটার তালিকায় অমিল বা অসংগতি দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই রাজ্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের তরফে বাড়ছে উদ্বেগ।

   

প্রসঙ্গত, ‘ম্যাপিং অ্যান্ড ম্যাচিং’ হল ভোটার তালিকার সঙ্গে ভৌগলিক এলাকার মিল যাচাই করার একটি আধুনিক পদ্ধতি। GIS (Geographic Information System)-এর মাধ্যমে এই কাজটি করা হয়, যেখানে প্রতিটি ভোটারকে নির্দিষ্ট বুথ এবং সেকশনের সঙ্গে যুক্ত করে, তাঁর বাসস্থানের বাস্তব অবস্থানকে যাচাই করা হয়। এতে দেখা যায়, কেউ ভুল জায়গায় তালিকাভুক্ত রয়েছেন কি না, বা কোনও জায়গায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ভোটার কেন রয়েছে, ইত্যাদি।

যে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেখানে প্রাথমিকভাবে যে কয়েকটি অমিল ধরা পড়েছে, তা হল:

একই ঠিকানায় একাধিক ভোটার তালিকাভুক্ত, কিন্তু কেউ বাস্তবে সেখানে থাকেন না।

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসা ভোটারদের উপস্থিতি, যাঁরা সেই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন।

ভোটারদের ঠিকানা অনুযায়ী বুথের অবস্থান সঠিক নয়, অনেকক্ষেত্রে ভোটারদের অন্য বুথে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন পড়ছে।

বহিরাগত ভোটারের সম্ভাবনা, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলগুলিতে। এই সমস্ত তথ্যই নির্বাচন কমিশনের হাতে পৌঁছেছে, এবং তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সংশ্লিষ্ট দফতর।

দুই জেলায় এখনও ম্যাপিংয়ের কাজ শুরু হয়নি বা সম্পূর্ণ হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পাহাড়ি ও দূরবর্তী এলাকার কারণে তথ্য সংগ্রহে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও এই এলাকায় বেশ কিছু জাতিগত ও ভূ-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণে রেখে কাজ করতে হচ্ছে।

 

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular