Arnab Dam: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করলেন অর্ণব, কিভাবে কাটল জট? জানালেন বিভাগীয় প্রধান

মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের পিএইচডি ক্লাস শুরু করলেন অর্ণব দাম (Arnab Dam)। ২০১০ সালে মেদিনীপুরের শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র মাওবাদী হামলার ঘটনায় দোষী সাবস্ত হন তিনি।…

মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের পিএইচডি ক্লাস শুরু করলেন অর্ণব দাম (Arnab Dam)। ২০১০ সালে মেদিনীপুরের শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র মাওবাদী হামলার ঘটনায় দোষী সাবস্ত হন তিনি। সংসাধনাগারে একটি চিঠি আসায় তাঁর ক্লাস শুরু নিয়ে শুরু হয় জটিলতো। অবশেষে সমস্ত বাধা পেরিয়ে ক্লাস শুরু করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার সংশোধনাগারে থাকা প্রিজন ভ্যানে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হতে দেখা যায় অর্ণবকে (Arnab Dam)। তাঁর চারদিকে রাখা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তা। কিভাবে সম্ভব হল অর্ণবের পিএইচডি গবেষণার ক্লাস করতে আসা? বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ তানভীর নাসরিন জানান যে ৩ জনের হস্তক্ষেপে সম্ভব হয়ে এটি। তাঁরা হলেন কুনাল ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং কারামন্ত্রী অখিল গিরি। এনাদের জন্যই শেষ অবধি এই কৌসে ভর্তি হতে পেরেছেন অর্ণব। জানা গেছে এই ছয় মাস কোর্সওয়ার্কের ক্লাস করবেন অর্ণব, তারপর যথাসময়ে পরীক্ষাও দেবেন তিনি । পরে ঠিক করা হবে তাঁর পিএইচডি গাইডের নাম।

   

প্রসঙ্গত, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তে একটি পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে থাকা একটি ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জড়ায় অর্ণব দামের (Arnab Dam) নাম। চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারী দোষী সাবস্ত হন তিনি। এর ১৭ মার্চ হুগলির চুঁচুড়া সংশোধনাগারে পাঠানো হয় তাঁকে। জানা গেছে যে এই সংশোধনাগারের গ্রন্থাগার থেকে বই পড়ে ইতিহাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ন হন অর্ণব। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হয়ে পিএইচডি করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন তিনি। বিচারক এই আদেশটি ছেড়ে দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর বিবেচনার ওপর। বর্তমানে সামাজিক ইতিহাসে গবেষণা শুরু করেছেন তিনি।

আরও দরাজ মমতা, এবার পুজো অনুদান বেড়ে ৮৫ হাজার টাকা

কয়েকদিন আগে অর্ণব ক্লাস শুরু করতে পারবেন কিনা সেই নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশোধনাগারের সুপারের কাছে জানতে চান নিরাপত্তা সমেত কিভাবে ক্লাস করবেন অর্ণব। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের সেক্রেটারি ইন্দ্রজিৎ রায় জানান যে প্রথমে তাঁদের কাছে সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষের তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল যে প্রয়োজন ছাড়া শহরের উপস্থিত হবেন না অর্ণব। তাঁকে অনলাইন ক্লাস করতে দেওয়ার অনুরোধ করে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে স্বশরীরে ক্লাসে পাঠাতে রাজি হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

গত সোমবার কাউন্সেলিংয়ের জন্য সংশোধনাগার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন অর্ণব। এর পর কাদম্বিনী গাঙ্গুলি ভবনে এসে কোর্স ভর্তি হন তিনি। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে তাঁকে নিয়ে গিয়ে তাঁর নথিপত্র যাচাই করেন কর্তৃপক্ষ। আজ তাঁকে ক্লাস শুরু করতে দেখে খুশি বিভাগের অধ্যাপকেরা।