মন্দারমণির অবৈধ ১৪০টি হোটেল ভাঙা পড়বে,আদালতের দিকেই তাকিয়ে মালিকরা

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় রিসোর্ট শহর মন্দারমণির হোটেল (Mandarmani Sea Beach) মালিকরা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, যেখানে তারা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় অঞ্চল বিধিমালা কর্তৃপক্ষের (WBCZMA) জেলা স্তরের কমিটির…

Calcutta High Court Stays Demolition Order on Illegally Constructed Hotels in Mandarmani

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় রিসোর্ট শহর মন্দারমণির হোটেল (Mandarmani Sea Beach) মালিকরা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, যেখানে তারা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় অঞ্চল বিধিমালা কর্তৃপক্ষের (WBCZMA) জেলা স্তরের কমিটির চেয়ারপারসনের এক নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করেছেন। ওই নির্দেশনার মাধ্যমে, ২০২২ সালের জাতীয় পরিবেশ ট্রাইব্যুনালের (NGT) আদেশ অনুসরণ করে মন্দারমণির (Mandarmani Sea Beach) সৈকত এলাকায় ‘অবৈধ নির্মাণ’ গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই নির্মাণগুলো উপকূলীয় বিধিমালার লঙ্ঘন করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মন্দারমণির প্রায় ১৪০টি হোটেলের নির্মাণ ধ্বংস করার জন্য ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এর মধ্যে কোনো হোটেল যদি সময়সীমার মধ্যে ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আদেশের বিরুদ্ধে হোটেল মালিকরা আদালতে আবেদন করেছেন এবং তারা দাবি করেছেন, যে হোটেলগুলি মন্দারমণির হাজার হাজার মানুষের জীবিকার উৎস, সেগুলি ভেঙে দেওয়া হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান সংকটে পড়বে এবং এর ফলে পর্যটন শিল্পেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে।

   

মন্দারমণি হোটেল (Mandarmani Sea Beach) মালিকদের দাবী, তাদের নির্মাণ অবৈধ ছিল না, বরং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমোদন পেয়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২২ সালের মে মাসে জাতীয় পরিবেশ ট্রাইব্যুনাল (NGT) মন্দারমণির অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেছিল যে, এসব হোটেল ও রিসোর্ট উপকূলীয় বিধিমালা লঙ্ঘন করে তৈরি করা হয়েছে এবং এর ফলে উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও, WBCZMA-কে তীব্র সমালোচনা করে ট্রাইব্যুনাল বলেছিল যে, তারা উপকূলীয় অঞ্চল বিধিমালা (CRZ) নোটিফিকেশন কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং এর ফলে “নো-ডেভেলপমেন্ট জোনে” ব্যাপক অবৈধ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের নির্মাণ পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে, যা মূলত সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে।