সরকারি হাসপাতালে মহিলা অস্থায়ী কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ম্যানেজার

মিলন পণ্ডা, পাঁশকুড়া: কলকাতা আরজিকর হাসপাতালের ছায়া পূর্ব মেদিনীপুর পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মহিলা অস্থায়ী কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ হাসপাতালে ফ্যাসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে (Manager…

সরকারি হাসপাতালে মহিলা অস্থায়ী কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ম্যানেজার

মিলন পণ্ডা, পাঁশকুড়া: কলকাতা আরজিকর হাসপাতালের ছায়া পূর্ব মেদিনীপুর পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মহিলা অস্থায়ী কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ হাসপাতালে ফ্যাসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে (Manager Arrested)।

একজন নয় একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী মহিলা ম্যানেজারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। সোমবার অস্থায়ী মহিলা পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ এই পুলিশ তদন্তে নেমে, ফেসিলিটি ম্যানেজার’কে প্রথমে আটক পরে গ্রেফতার করে।

   

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ম্যানেজার জাহির আব্বাস খান। সরকারি হাসপাতালের ভেতরে মহিলা অস্থায়ী কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি। যদিও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বেসরকারি সংস্থার অধীনে ওয়ার গার্ল কাজ করতো একাধিক যুবতী। হাসপাতালে ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার হাসপাতালে ভেতরে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। একথা কাউকে জানালে প্রাণের মেরে ফেলার হুমকি দিত। একজন নয় একাধিক মহিলা অস্থায়ী কর্মীদের উপর অত্যাচার করতে বলে অভিযোগ।

ঘটনা জানাজানি হতেই হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী থেকে সরকারি কর্মীরা ওই ফেসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সোমবার এনিয়ে পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রথমে কোলাঘাট থেকে হাসপাতালে প্যাসিলি ম্যানেজার জহির আব্বাস খানকে আটক করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে৷ পাঁশকুড়া থানায় পুলিশ আধিকারীক বলেন, “অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷”

Advertisements

ধর্ষিত এক নির্যাতিতা অস্থায়ী মহিলা কর্মী বলেন, ‘‘কাজে যোগ দেওয়া পর থেকে আমার উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করত। শারীরিক সম্পর্ক না করলে, আমার, পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত৷ এর আগেও বেশ কয়েকবার আমাকে চাপ দিয়েছিল, আমি তাতে রাজি হয়নি। রবিবার বাধ্য হয়েছি৷”

হাসপাতালে এক নিরাপত্তা রক্ষী রাজু খাঁড়া বলেন, “যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি খুবই খারাপ লোক ছিলেন। হাসপাতাল যেন আড্ডাখানায় তৈরি করেছিল। সকাল ন’টা থেকে হাসপাতালে ঢুকতো, রাত ১১ টা সময় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেত। কোন কর্মী এতক্ষণ হাসপাতালে থাকত না। উপযুক্ত শাস্তি পায়, ফাঁসি য়েন হয়৷”

এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য সিন্টু সেনাপতি বলেন, “হাসপাতালে ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার যারা আক্রান্ত হয়েছে, জহির বাবু তৃণমূলের নেতা হিসেবে নিজেকে মনে করেন। হাসপাতালে একাধিক অবৈধ কাজ ও ভূয়ো টেন্ডার যুক্ত থাকেন। বিগত কয়েকদিন আগে, ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে হাসপাতালে সুপারে কাছে একাধিক দুর্নীতি অভিযোগ সামনে এনে আমরা ডেপুটেশন দিয়েছিলাম৷”