গতকালের তৃণমূল শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেন ভাষা আন্দোলন আবারও হবে (Tathagata)। তিনি তার পুরোনো ফর্মে ফিরে গিয়ে বক্তৃতা করে বলেছেন আজ বাংলার বাইরে বাঙালিরা নিগৃহীত। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা বললেই হেনস্থা করা হচ্ছে। মঞ্চ থেকে মমতা বাঙালিদের ডাক দিয়েছেন ভাষা আন্দোলনের জন্য।
মমতার এই বক্তৃতা কে সামনে রেখে বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় মমতাকে কটাক্ষ করে বলেছেন মমতার ‘ভাষা শপথ’ আসলে মমতার আর্তনাদ ছাড়া আর কিছুই নই। তথাগতের অভিযোগ মমতার অকল্পনীয় মুসলিম তোষণে বাঙালি হিন্দুরা তার প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন যে হাজার হাজার টাকা ভাতা দিয়ে আর হিন্দুদের মুখ বন্ধ করে রাখা যাবে না।
তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতির নমুনা উল্লেখ করে তথাগত বলেছেন কয়লা, বালি, গরু রেশন মানুষ ভুলবে না কখনো। সবচেয়ে বড় কথা শিক্ষায় দুর্নীতির শিকার হয়ে প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক আজ রাস্তায় বসেছেন তাও বাঙালি হিন্দুরা মনে রাখবে চিরকাল। তথাগত দাবি করেছেন এখন মমতার নতুন ভিকটিম কার্ড হল বাংলা এবং বাঙালি।
তিনি বোঝাতে চেয়েছেন শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে আর তাই বাঙালিদের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করতে চাইছেন মমতা। তিনি বলেছেন বাঙালিরা এতো বোকা নয়। তারা তৃণমূলের সমস্ত দুর্নীতির সাক্ষী। আর বাংলার বাইরে যাদের আটক করা হয়েছে তারা বাংলাদেশ থেকে আগত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গিয়া মুসলমান।
তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে বোঝাতে চেয়েছেন যে মমতার এই মুসলিম তোষণ কতটা ভয়ঙ্কর তা মানুষ বুঝুক। মমতা আজ যাদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন তারা শুধু বাংলা নয় সারা ভারতবর্ষের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এই পোস্টের পরিবর্তে কয়েকজন প্রবাসী এবং ভিন রাজ্যে কর্মরত মানুষ জানিয়েছেন বাংলার বাইরে এবং সর্বোপরি বিজেপি শাসিত রাজ্যে তারা শান্তিতে আছেন কেউ তাদের বিরক্ত করছে না।
এর থেকেই প্রমান হয় বাঙালিরা ঠিক ই আছেন ধরা পড়ছে শুধু অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গিয়ারা। এই পোস্টে তথাগত প্রথমে স্বামী বিবেকানন্দের একটি করে বলেছেন ‘চালাকির দ্বারা মহৎ কার্য সম্পন্ন হয়না’। আবার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের একটি কথাও তিনি উল্লেখ করে মমতাকে কটাক্ষ করেছেন।
তৃণমূলের ডিজিটাল সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেবাংশু, দিলেন টাস্ক
যেমন “কিছু লোককে চিরকালের জন্য বোকা বানানো যায়, সবাইকে কিছুদিনের জন্য বোকা বানানো যায়; কিন্তু সবাইকে চিরকালের জন্য বোকা বানানো যায় না”। তবে রাজনৈতিক ময়দানে বাক্য বান, কটাক্ষ এসব তো চলতেই থাকবে। কিন্তু আসন্ন ২০২৬ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কারা শেষ হাসি হাসবে তা বলবে বাংলার সাধারণ মানুষের রায়।