বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে প্রত্যার্পিত মৎসজীবীদের ওপর শারীরীক নির্যাতন হয়েছে। সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন কার্যত ইউনূস সরকারকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, “মৎসজীবীদের বাংলাদেশে মারধর করা হয়েছে। পা থেকে কোমড় পর্যন্ত চোট রয়েছে। খুঁড়িয়ে হাঁটছেন অনেকে। হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়েছে। জখম মৎসজীবীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ফেরত মৎসজীবীদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আগে মৎসজীবীদের কেউ দেখত না।
ভারতের মদতেই বাংলাদেশে অশান্তি, বিস্ফোরক দাবি সেলিমের
আমাদের সরকার মৎসজীবীদের অবস্থা বোঝে।” পাশাপাশি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন,গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার দাবি জানাচ্ছি। হাজারবার অনুরোধ করে সেই দাবি মানেনি কেন্দ্র।গঙ্গাসাগরের টাকা দেয় না কেন্দ্র। একাধিকবার কেন্দ্রকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। কুম্ভকে হাজার কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করে কেন্দ্র। বাংলাদেশের ট্রলার আটকে গেলে এমনটা করা হয়নি। কিন্তু ভারতের মৎসজীবীদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
বেঙ্গালুরুতে এইচএমপিভি আক্রান্ত দুই শিশু! ‘চিনা’ ভাইরাসের সঙ্গে যোগ নেই, জানাল কেন্দ্র
উল্লেখ্য গত রবিবার, বঙ্গোপসাগরে দুই দেশের মধ্যে একটি বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, যার মাধ্যমে ১৮৫ জন মৎস্যজীবী নিজেদের দেশে ফেরেন। গোটা প্রত্যার্পণ প্রক্রিয়ায় ভারত এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) উপকূলরক্ষী বাহিনী একসঙ্গে কাজ করে।
ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্তই ট্রুডোর পতনের কারণ? চলছে চর্চা
বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরবেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী, যারা অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে বন্দি ছিলেন। অপরদিকে, ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন ৯০ জন মৎস্যজীবী, যারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জলসীমায় আটকে ছিলেন। তবে এই মৎসজীবী ইস্যুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।