পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় (Digha) গড়ে উঠছে নতুন জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple)। পুরীর আদলে নির্মিত এই মন্দিরটি রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে দিঘাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই মন্দিরের কাজ দেখতে এবং তার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিঘায় তিন দিনের সফরে রওনা হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ১১ ডিসেম্বর তিনি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন এবং ১২ ডিসেম্বর কলকাতায় ফিরবেন।
এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প (project), কারণ দিঘা, যা আগে থেকেই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় ছিল, সেখানে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হলে তা পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন গতিবেগ এনে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরী ভ্রমণকারী ভক্তদের দিঘায় আকৃষ্ট করতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি, জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণ কাজের সঙ্গে সঙ্গে দিঘা এবং মন্দারমণির অবকাঠামোগত উন্নয়নেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, দিঘার (Digha) নিউ স্টেশন সংলগ্ন ভগীব্রহ্মপুর মৌজার বিস্তীর্ণ উঁচু বালিয়াড়িতে গড়ে উঠছে এই মন্দির। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হবে দিঘার এই জগন্নাথধাম। মন্দিরের উচ্চতাও প্রায় পুরীর মন্দিরের সমান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মন্দিরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং শিগগিরই উদ্বোধনের প্রস্তুতি শুরু হবে।
দিঘা (Digha) মন্দিরের নির্মাণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্দিরের চারপাশের অবকাঠামো এবং এলাকার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে গত কয়েক বছরে এই প্রকল্পের জন্য কয়েক’শো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং অন্যান্য কাজও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে দিঘা এবং মন্দারমণির পর্যটন সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে, বিশেষ করে যখন এ বছর ২৬ তারিখে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মমতার এই সফরকে ওই নির্বাচনের আগে সরকারের এক বিশেষ প্রচারণা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য, দিঘায় (Digha) মন্দিরের উদ্বোধনের পর এখানকার পর্যটন ব্যবসায় আরও প্রসার ঘটবে এবং স্থানীয় মানুষের জন্য কর্মসংস্থানও বাড়বে। রাজ্যের পর্যটন শিল্পের জন্য এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বাংলার আরেকটি ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে দিঘাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।