পাহাড়ে জনসংযোগ মমতার, ছোটদের দিলেন চকলেট

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে দার্জিলিং পৌঁছান। মঙ্গলবার সকালে, শহরের ম্যালের রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। তিনি তাদের…

Mamata Banerjee, community connect

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে দার্জিলিং পৌঁছান। মঙ্গলবার সকালে, শহরের ম্যালের রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে স্থানীয় শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। তিনি তাদের হাতে চকোলেট তুলে দেন এবং তাদের ভালো থাকার কথা বলেন। মমতার এই সাদামাটা কিন্তু আন্তরিকভাবে শিশুকুলের প্রতি শুভকামনা জানানো দৃশ্যটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

জনসংযোগের মাধ্যমে এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা শোনেন মমতা
প্রাতঃভ্রমণের পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা (community connect) বলেন এবং তাদের সমস্যার কথা শোনেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং তার প্রয়োগ নিয়ে জনগণের মতামত জানতে চান। এমনকি, পল্লী অঞ্চলের বাসিন্দাদের থেকে প্রাপ্ত নানা সমস্যা ও তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেন।

   

বিশ্ববাংলা স্টল পরিদর্শন, শীতপোশাকের দোকান ঘুরলেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী তার সফরে দার্জিলিংয়ের বিশ্ববাংলা স্টলও পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি শীতকালীন পোশাকের দোকানগুলো ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি জানান, শীতকালীন ব্যবসা বিক্রিতে আরো উন্নতি করতে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি, তিনি সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার বাণিজ্যিক উন্নয়নেও মনোযোগ দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন সরকারের সর্বাধিক অগ্রাধিকার। তিনি জানান, ইতোমধ্যে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং এগুলোর মাধ্যমে এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নত করতে কাজ করা হচ্ছে। তার সফরে স্থানীয়রা নতুন কিছু প্রকল্পের জন্য আশাবাদী এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ় হয়েছে।

মমতার উত্তরবঙ্গ সফরটি স্থানীয়দের কাছে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। জনসংযোগের মাধ্যমে একদিকে যেমন তিনি স্থানীয় সমস্যাগুলো শোনার সুযোগ পেয়েছেন, তেমনি অন্যদিকে শীতপোশাকের দোকান পরিদর্শন, শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো, এবং সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে তার সফরটি রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব পেয়েছে।