‘শুধু খেলা-মেলা আর মোচ্ছব, বিরল খনিজে উদাসীন মমতা সরকার’: শমীক

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে বিরল খনিজের প্রাপ্তিতে (Shamik)। ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা দল ২০২৫ সালে G2-স্তরের উন্নত অনুসন্ধান শুরু করেছে, যা পুরুলিয়া ও করবি…

Shamik slams west bengal government

পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে বিরল খনিজের প্রাপ্তিতে (Shamik)। ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা দল ২০২৫ সালে G2-স্তরের উন্নত অনুসন্ধান শুরু করেছে, যা পুরুলিয়া ও করবি আঙ্গলং-এ গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলোর সন্ধানে মনোযোগ দিচ্ছে। নিওডিমিয়াম এবং ডিসপ্রোসিয়ামের মতো এই খনিজগুলো আধুনিক প্রযুক্তি শিল্প—বিশেষ করে ব্যাটারি, চিপ, মিসাইল এবং উপগ্রহ তৈরির জন্য অপরিহার্য।

পুরুলিয়ায় ০.৭৬ মিলিয়ন টন বিরল খনিজ পাওয়া গেছে। কিন্তু তা বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করা যাচ্ছে না শুধু মাত্র বর্তমান তৃণমূল সরকারের উদাসীনতার কারণে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন বাংলা বিজেপির নব নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। শমীকের অভিযোগ এই বিরল খনিজ বাণজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করে আমরা দেড়লক্ষ কোটি টাকা পেতে পারি। যা আমাদের ভারতের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।

   

কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার শুধু খেলা, মেলা আর মোচ্ছবে টাকা ওড়াচ্ছে। তারা ডিএ দিতে পারবেনা বলে হলফ নাম দিয়েছে। অথচ আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পে আট হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দূর্গা পুজোর অনুদান দেওয়া হচ্ছে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা করে। কিন্তু রাজ্যে প্রাপ্ত এই বিরল খনিজের বাণিজ্যিক ব্যবহারে কেন উদাসীন রাজ্য সরকার ? প্রশ্ন শমীকের।

পুরুলিয়া জেলা, যা দীর্ঘদিন ধরে কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল ছিল, এখন একটি নতুন পরিচয়ের দিকে এগোচ্ছে। GSI-এর G2-স্তরের অনুসন্ধান জটিল প্রযুক্তি ও গভীর ভূগর্ভীয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভারী বিরল পৃথিবী খনিজের সন্ধান করছে। যদি এই এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ পাওয়া যায়, তবে এটি শুধুমাত্র পুরুলিয়ার অর্থনীতিকে বদলে দেবে না, বরং জঙ্গলমহলের পুরো অঞ্চলের জন্য একটি উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করবে।

Advertisements

২০২৫ সালের মিন্ট নিউজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, যদি এই জমা GSI-এর অনুমানের সাথে মিলে, তবে এটি বিশ্ববাজারে ভারতের অবস্থানকে পুনর্নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু ঘুম ভাঙেনি সরকারের। শুধু তেল কিংবা গ্যাস নয় এই ধরণের বিরল খনিজ বাংলা তথা ভারতের উন্নতিকল্পে ব্যবহার সম্ভব। তা কবে অনুধাবন করবে এই সরকার প্রশ্ন শমীকের।

Hilsa: নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে বাজারে ছোট ইলিশের ছড়াছড়ি

তৃণমূলের অসহযোগিতা এবং ঔদাসীন্য বাংলার অর্থিনীতির কোমর ভেঙে দিচ্ছে এমনটাই শোনা গেল বিজেপি রাজ্যসভাপতির গলায়। শমীকের মতে হরিলুটের রাজনীতি চলছে। দুশো কোটি টাকা দিয়ে মন্দির তৈরী হচ্ছে কিন্তু আর্থিক উন্নয়ন কোথায় ? শমীকের এই যুক্তিযুক্ত অভিযোগের উত্তর কিভাবে দেবে রাজ্য সরকার এবং বিরল খনিজের ব্যাবহারে সরকারের উদাসীনতার পাহাড় কবে টলবে তা সময়ই বলবে।