ভোটের পাঁচদফা পার, বাকি আর মাত্র দু’দফা। লড়াই জোরদার। ইতিমধ্যেই বিজেপি ৩০০ আসন পার করে ফেলেছে বলে দাবি গেরুয়া নেতৃত্বের। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, বিজেপি এবার ২০০ আসনও পাবে না। এসবের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী মোদীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি জায়গা বাছুন। আপনার টেলিপ্রম্পটার ও অফিসারদেরও সঙ্গে নিয়ে আসুন। একসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হব। সাংবাদিকরা আমাদের যে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চান, সেটাই তাঁদের করতে দেওয়া হোক। কারণ লিখে রাখা স্ক্রিপটেড ইন্টারভিউ অনেক হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তৃণমূল ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এই একই চ্যালেঞ্জ একাধিকবার ছুড়েছিলেন।
Suvendu Adhikari: মুখ পুড়ল মমতার পুলিশের! ভোটের মধ্যেই বড় জয় শুভেন্দুর
প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর থেকে গত ১০ বছরে মোদী কেন একটিও সাংবাদিক বৈঠক করেননি। এর জবাব ভোটের আবহে দিয়েছেন খোদ নমো। বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের নিজস্ব পছন্দ আছে। সেই পছন্দের জন্য় তাঁরা পরিচিত। সংবাদমাধ্যম আর নিরপেক্ষ নেই।’ তিনি আরও বলেন,’আমি কঠোর পরিশ্রম করতে চাই। গরিব মানুষের বাড়ি যেতে চাই। চাইলে আমি ফিতে কাটতে এবং আমার ছবি তোলাতে পারি, কিন্তু করি না। ঝাড়খণ্ডে ছোট জেলায় গিয়ে ছোট কোনও প্রকল্পে কাজ করি।’
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর মতে, ‘সংবাদমাধ্যমের চরিত্র বদলে গিয়েছে। আগের সেই নিরপেক্ষ সত্ত্বা আর নেই। সাংবাদিকরা এখন নিজেদের মত আর আদর্শ প্রচারে ব্যস্ত। আমি সংসদে জবাব দিই। সাংবাদিকদের নিজস্ব পছন্দ আছে। সেই পছন্দের জন্য় তাঁরা পরিচিত। সংবাদমাধ্যম আর নিরপেক্ষ নেই। আগে সংবাদমাধ্যমে কোনও মুখ ছিল না। কে লিখছে? আদর্শ কী? সেসব নিয়ে কেউ ভাবত না। পরিস্থিতি অবশ্য় এক নেই।’
উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মাপকাঠিতে ১৮০ দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৬১ নম্বরে। ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই অবনমন। তালিকায় ভারতের উপরে রয়েছে নেপাল, শ্রীলঙ্কা। এমনকী পাকিস্তানও। শুধু বাংলাদেশ ভারতের পিছনে রয়েছে।