কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাস্থলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

   নিউজ ডেস্ক: কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পেয়েই রাঙ্গাপানির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। সেমবার সকালে এক্স প্রোফাইলে দুর্ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেন তিনি।…

  

নিউজ ডেস্ক: কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার খবর পেয়েই রাঙ্গাপানির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। সেমবার সকালে এক্স প্রোফাইলে দুর্ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেন তিনি। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় পুরোদমে উদ্ধারকার্য চলছে সেই কথাই জানান তিনি।

এদিন নিউ জলপাইগুড়ির নিকট রাঙ্গাপানির স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার সন্মূখীন হয় আগরতলা থেকে শিয়ালদহগামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। পেছন থেকে মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারলে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কাজ করছিল না মালগাড়িতে। তাছাড়াও মালগাড়ির চালকের ভুলের জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ঞব। সকালেই দুর্ঘটনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লিতে কন্ট্রোলরুমে টানা বৈঠক করেন তিনি।

   

এনডিআরএফ কর্মীরা গ্যাস কাটার দিয়ে রেলের কামরা কেটে ভেতরে প্রবেশ করছেন। ইতিমধ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। দু এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধার কার্যে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে এনডিআরএফ উদ্ধারকারী দলকে।

এদিন সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন দার্জিলিং জেলার জেলাশাসক, এসপি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। দুর্ঘটনার জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের রেল চলাচল।ঘটনার জেরে রুট বদল হয়েছে পাঁচটি ট্রেনের। তবে সাময়িক পরিস্থিতি রেল চলাচল ব্যহত হলেও খুব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানানো হয়েছে পুর্ব রেলের তরফে। শিয়ালদহ, শিলিগুড়ি ও মালদার মতো একাধিক জায়গায় খোলা হয়েছে হেল্প ডেস্ক। সেখানে যোগাযোগ করতে পারবেন যাত্রীদের পরিবার স্বজনা।

তবে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেলের অ্যন্টি কলিসন ডিভাইসে নিয়েও। মোদী ক্ষমতায় আসার পরই ঘটা করে রেল ‘রক্ষা কবচ’ সিস্টেম চালু করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কয়েক বছরে একাধিক দুর্ঘটনা এই সিস্টেমের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

গতবছর বালাসোরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর সেখানেও ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়েপাধ্যায়। সেখানে গিয়েও রেলমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে অ্যন্টি কলিসন ডিভাইস ও রেল নিরাপত্তা নিয়ে জোরদার সওয়াল করেছিলেন। তাঁর প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যত নিরুত্তর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। সোমবার পুনরায় আরও একটি রেল দুর্ঘটনাস্থলে ফের মুখোমুখি হতে পারেন দুজনেই।