কলকাতা: ফি বছরই কালীপুজোয় অন্য রূপে ধরা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ধুমধান করে নিজের হাতে পুজোর আয়োজন করেন তিনি৷ এবছর বিশ্বকর্মা পুজোতেও দেখা গেল তাঁর ভিন্ন রূপ। বুধবার কালীঘাটে নিজের বাড়ির সামনের পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত বিশ্বকর্মা পুজোয় হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের এই কার্যালয়েই বসেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা।
পুলিশের পুজোয় মমতা
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ভ্রাতৃবধূ তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলা পুলিশকর্মীরাও এদিন সকলে মিলে পুজোয় অংশ নেন। নিজের এক্স (X) হ্যান্ডেলে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে মমতা লিখেন, “কালীঘাটে আমার বাড়ির পাশে পুলিশের অফিসে আজ বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। আমি ওদের সঙ্গে ছিলাম। কয়েকটি ছবি শেয়ার করলাম।”
প্রসঙ্গত, এদিনই তৃণমূল ভবনেও বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
শ্রমিকদের প্রতি বার্তা Mamata Banerjee Vishwakarma Puja
এই বছর বিশেষ তাৎপর্য নিয়ে বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হচ্ছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই দিনে ছুটি ঘোষণা করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানাতেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “সকলকে জানাই বিশ্বকর্মা পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা। এবারে আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোতে রাজ্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছি।”
শুধু ছুটি নয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পও চালু করেছে রাজ্য। কাজ না পাওয়া পর্যন্ত মাসে ৫ হাজার টাকা ভাতা, সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা—সবকিছুই থাকছে এই প্রকল্পের আওতায়।
রাজনৈতিক তাৎপর্য
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের হেনস্তার ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছেন। তাঁদের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে এবং বাংলায় থেকে কাজের সুযোগ নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। সেই আবহেই মুখ্যমন্ত্রীর এদিন বিশ্বকর্মা পুজোয় অংশগ্রহণকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মনে করেন, বিশ্বকর্মা পুজো থেকেই আসলে দুর্গাপুজোর উৎসবের সূচনা হয়। আর ঠিক সেই আবহে, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করতে চলেছেন এবারের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন পর্ব।