ডিভিসির ‘প্রতিশোধ’, মমতার নির্দেশে ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল হওয়ায় খাদ্য সংকটের আশঙ্ক

একেই হয়তো বলে ইটের বদলে পাটকেল! এই মুহুর্তে দুই প্রতিবেশি রাজ্য বাংলা-ঝাড়খণ্ডের মধ্যে এই ঢিল ছোঁড়াছুড়িই চলছে। সম্প্রতি ডিভিসির জল ছেড়ে বাংলাকে ডোবানোর চেষ্টা করছে…

একেই হয়তো বলে ইটের বদলে পাটকেল! এই মুহুর্তে দুই প্রতিবেশি রাজ্য বাংলা-ঝাড়খণ্ডের মধ্যে এই ঢিল ছোঁড়াছুড়িই চলছে। সম্প্রতি ডিভিসির জল ছেড়ে বাংলাকে ডোবানোর চেষ্টা করছে বলে ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সরকারকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তারপরই তিন দিনের জন্য বন্ধ করে দেন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঝাড়খণ্ড সীমানায় আটকে আছে পণ্যবাহী গাড়ি। ফলে বিপাকে পড়েছেন গাড়ি চালকরা। 

West Bengal Flood: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মোদিকে চিঠি মমতার!

   

সিমলা থেকে আসছে আপেল, পাঞ্জাব থেকে আসছে নাসপাতি, দিল্লি থেকে সেনা ক্যাম্পের জন্য প্যাকেটবন্দি খাবার। সব আটকে আছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ডুবুডি চেকপোস্টে। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে আটকে আছে জরুরি পরিষেবার গাড়িও। রাতেই ডুবুডি চেকপোস্টে ছুটে আসেন ঝাড়খণ্ডের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা এসে রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের কারণ জানতে চাইলে রাজ্যের তরফে জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ রয়েছে। 

লাইভ সম্প্রচার নিয়ে বিতর্কের মাঝেই সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক!

ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া আসানসোলর পাঁচটি নাকা চেকপোস্ট সিল করে দেয় পুলিশ। সন্ধ্যে ছ’টার পর থেকে আসানসোল ঝাড়খণ্ডের সংযোগকারী বিভিন্ন জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক ও নাকা চেক পোস্টগুলি পুলিশ আটকে দেয়। আর এর ফলে শুধু ঝাড়খণ্ডই নয়, বিপাকে পড়তে হয়ে বিশেষ করে অসম, মিজোরাম, নাগাল্যাণ্ড ও মনিপুরের মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যগুলিকে। কারণ উত্তর ভারতের বহু শষ্য,খাদ্যপণ্য, ফল সাকসবজি ইত্যাদি বহু জিনিস ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলার ওপর দিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে সরবরাব হয়। কিন্তু এই খাদ্যপণ্য সরবরাহ না হলে দৈনন্দিন পন্যের দাম বাড়তে পারে।

কেন্দ্রের ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’-এর তকমা হাসিল বাংলার, খুশি মমতা

এমনকী উত্তর-পূর্বের মতো দেশের পিছিয়ে পড়া এলাকগুলিতে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। তারমধ্যে মনিপুরে যখন অশান্ত, তখন সেখানে সেনার জন্য খাদ্য সরবরাহ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু এখন এই পরিস্থিতিতে কীভাবে এই জটিলতা কাটবে তা দুই রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরে আলোচনার ওপর নির্ভর করছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।