মুর্শিদাবাদের মানুষ দাঙ্গা পছন্দ করেন না। কিছু মানুষ নির্বাচনের আগে BJP-র থেকে টাকা নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের জনসভা থেকে নাম না করে ঠিক কাকে বা কাদের নিশানা করলেন তিনি? মমতার কথায়, ‘যারা সাম্প্রদায়িকতার হোলি খেলছেন, তারা সাবধান।’ ‘গদ্দার’, ‘কুলাঙ্গার’ বলেও তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী।
সাসপেন্ড হুমায়ুন
এদিন বহরমপুরের এই সভায় প্রথমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে। সকালে মমতার সভাস্থলে এসে হুমায়ুন কবীর জানতে পারেন শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেন, ‘ঘৃণার রাজনীতি মনে নেবে না তৃণমূল। ওই এলাকা ধর্মীয় ভাবে স্পর্শকাতর। দলের সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। ধর্ম নিয়ে যাঁরা বিভাজনের রাজনীতি করেন, তাঁদের সঙ্গে দল কোনও সম্পর্ক রাখবে না।’ হুমায়ুনও সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেন, তিনি শীঘ্রই নয়া দল খুলবেন এবং তৃণমূল ও রাজ্য বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেবেন।
পচা শামুকদের সরিয়ে দেবেন
এদিন নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করেন হুমায়ুন কবীরকে? তিনি বলেন, ‘সব ধর্মেই কুলাঙ্গার থাকে, গদ্দার থাকে। এদের সঙ্গে ভিতরে ভিতরে যোগাযোগ রাখে BJP। টাকা দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা ফান্ডিং করায়। তা হবে না। এটা শান্তির জেলা, মা মাটি মানুষের জেলা। দাঙ্গাকে প্রশ্রয় দেবেন না। বুক দিয়ে শান্তি রক্ষা করবেন। নির্বাচনের আগে টাকা খেয়ে কেউ কেউ সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করে, এরা দেশের শত্রু। পচা শামুকদের সরিয়ে দেবেন। একটা ধান পচে গেলে সরিয়ে দিতে না হলে সব ধান পচে যায়। কিছু পোকামাকড় থাকবেই, কিন্তু এদের আমরা সরিয়ে দিই। তেমনই এদেরও সরিয়ে দিন।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘এখন থেকে সিদ্ধান্ত নিন। নির্দলদের ভোট দেবেন না। ওরা টাকা খাওয়া দল। কেউ কেউ আপনার ভোট কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তা করতে দেবেন না।’ এই বক্তব্য কি কেবল হুমায়ুন কবীরের জন্যই? একইসঙ্গে নাম উচ্চারণ না করে দলের আরও কোনও কোনও ব্যক্তিকে কি বার্তা দিলেন নেত্রী? রাজনৈতিক মহলে চলছে জল্পনা।
