লক্ষ্য ‘২৬-এর ভোট! বড়ঞার বড় দায়িত্ব কেষ্টর শক্ত হাতে সঁপলেন মমতা

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় দীর্ঘ দিন জেলে বন্দি ছিলেন একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল৷ কিছু দিন আগেই দিল্লির তিহাড় জেল থেকে বীরভূমে ফিরেছেন তিনি৷…

responsibility to anubrata mondal

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় দীর্ঘ দিন জেলে বন্দি ছিলেন একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল৷ কিছু দিন আগেই দিল্লির তিহাড় জেল থেকে বীরভূমে ফিরেছেন তিনি৷ কিছুদিন নিশ্চুপ থাকলেও ফের ধীরে ধীরে বীরভূমের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠছেন কেষ্ট৷ এবার তাঁর কাঁধে বড় দায়িত্ব সঁপলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ স্নেহভাজন কেষ্টর হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন বড়ঞার দায়িত্ব। এবার থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব সামলাবেন অনুব্রত৷ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন তিনি৷ 

হাতে আর মাত্র এক বছর৷ ২০২৬-এ রয়েছে বিধানসভা ভোট৷ তার আগে নতুন করে ঘুঁটি সাজানোর কাজটা এখন থেকেই শুরু করে দিতে চাইছেন দলনেত্রী৷ ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রথমবার বড়ঞা বিধানসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থী অমিয়কুমার দাসকে ২,৭০০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় তাঁর৷ ১৩ মাস জেল খেটে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন৷ জনপ্রতিনিধি হিসাবে ‘স্বাভাবিক’ কাজকর্মও শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু, তিনি যখন জেলে ছিলেন, সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে বড়ঞাতে অনেকটাই ভিত পাকা করে নিয়েছে বিজেপি৷ সেই বিষয়টি মাথায় রয়েছে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের।

   

লোকসভা ভোটের ফলাফল থেকে বিজেপি’র উত্থানের ছবি স্পষ্ট। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের মধ্যে সমানে টক্কর হলেও, বড়ঞা বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী চিকিৎসক নির্মলচন্দ্র সাহা ৫৫৮ ভোটে এগিয়েছিলেন। এই বিষয়টি নজরে রেখেই বড়ঞার দায়িত্ব কেষ্টর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দলনেত্রী৷ বিধানসভা নির্বাচনে বড়ঞা নিয়ে নিশ্চিত থাকতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ সেই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তেমনটাই তৃণমূল সূত্রে খবর।

এ প্রসঙ্গে বড়ঞার বিধায়ক বলেন, ‘‘কেষ্টদার মতো দক্ষ নেতাকে দিদি আমার বিধানসভার দায়িত্বে দিয়েছেন। দলের নির্দেশ মেনেই আমি কাজ করব। কেষ্টদার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। ওঁর সঙ্গে কাজ করতে সুবিধাই হবে।’’