তাঁর সেনাপতিত্বেই বাংলা বিরোধীদের ‘বিসর্জন’ দিয়েছে। রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত নবজোয়ার যাত্রা করে তিনিই তৃণমূল কর্মীদের (Mamata Banerjee) চাঙ্গা করে তুলেছিলেন। সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার বিরাট দায়িত্ব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার ফলপ্রকাশের পরে করা সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়েছিলেন, ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দিতে পারেন অভিষেক।
মমতা এও জানান, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তাই এই মুহূর্তে তাঁর পক্ষে দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয়। অভিষেক ফ্রি থাকলে যাবে। বিমানে টিকিট, থাকার ব্যবস্থা সবকিছুই তো করতে হবে। তবে আজ দুপুরে দেখা যায়, তৃণমূলের তরফে ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজ এনডিএ এবং ইন্ডিয়া, দু’পক্ষই পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসছে। ৫৪৩টি লোকসভা রয়েছে দেশে। অর্থাৎ, ম্যাজিক ফিগার ২৭২। বিজেপি ২৪০টি আসনে জিতেছে।
বাংলায় লজ্জার হার বিজেপির একঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থীর
অর্থাৎ, সরকার গড়তে বিজেপির প্রয়োজন আরও ৩২ জন সাংসদের সমর্থন। এক্ষেত্রে অন্যতম নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারেন তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডু আর জনতা দল ইউনাইটেডের নীতিশ কুমার।
নীতিশ-চন্দ্রবাবুকে নিজেদের দিকে টানতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে ইন্ডি জোট। এবারের নির্বাচনে ইন্ডি জোট টি আসন পেয়েছে। ফলে নীতিশ-চন্দ্রবাবুকে জোটে টানলে সরকার গড়ার দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে তারা। আর তাই নীতিশকে দেওয়া হয়েছে উপ-প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব। চন্দ্রবাবুকে বলা হয়েছে, ইন্ডি জোট সরকার গড়লে অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হবে।
কাঁথিতে তৃণমূল জিতলেও সার্টিফিকেট দিচ্ছে না কমিশন, বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার
ফলে ইন্ডি জোটের এই বৈঠক যে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এহেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দলের মতামত জানাতে চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই দায়িত্ব তাঁকে তুলে দিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।