Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীকে মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক

Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: শুক্রবার বর্ধমানের স্পন্দন মাঠে জেলা সৃষ্টিশ্রী মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায়। এদিন জেলার মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পরিসংখ্যান উল্লেখের পাশাপাশি তাঁদের উজ্জীবিত করতে গিয়ে জেলাশাসক বলেন, “আপনাদের সামনেই উদাহরণ রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যিনি মা দুর্গার মত সমস্ত দিক সামলাচ্ছেন।” জেলাশাসক বলেন, যেমনভাবে মুখ্যমন্ত্রী সকল দিক সামলাচ্ছেন তেমনি আপনারাও এগিয়ে চলুন। সমাজের দুটি পা পুরুষ ও মহিলা। দুটি পা-ই যদি ঠিক থাকে তাহলে যেমন শরীর ঠিক থাকে তেমনি পুরুষ ও মহিলারা যদি সমানতালে সামাজিক কাজ করে তাহলে সমাজও এগিয়ে চলে।

Advertisements

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের মুখে জেলাশাসকের এই মুখ্যমন্ত্রীকে মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করাকে কেন্দ্র করে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি শিবির এই বিষয়কেই তুলে ধরে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ ঠুকতে চলেছেন বলে জানা গেছে। লোকসভা ভোটের আগে জেলাশাসককে সরিয়ে দেবার আবেদন জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীররঞ্জন সাউ। অন্যদিকে, শুক্রবার বর্ধমানের স্পন্দন মাঠে ৫দিনের জেলা সৃষ্টিশ্রী মেলার উদ্বোধন করতে এসে বিজেপির এনআরসি লাগু করার বিষয়ে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগে গুজরাত আর উত্তরপ্রদেশে এনআরসি চালু করে দেখাক। ওখান থেকে আগে বিদেশীদের তাড়িয়ে দেখাক, তারপর বাংলার কথা ভাববে। তিনি বলেন, বাংলায় এনআরসি লাগু করতে গেলে মার খাবে। কেউ ছেড়ে কথা বলবে না। এদিন সৃষ্টিশ্রী মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি বিভাজন সৃষ্টি করছে। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই সৃষ্টিশ্রী মেলায় হিন্দু-মুসলিম সহ সমস্ত সম্প্রদায়ের মা বোনেরা কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে নিজেদের স্বরোজগারী করে গড়ে তোলার কাজ করছেন। কার্যত জাতপাত ব‌্যাপারটাকেই তাঁরা তুলে দিয়েছেন।

Advertisements

এদিন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানান, শুধু জেলার বুকে এই মেলা করলে হবে না। প্রতিটি ব্লকে ব্লকে এই মেলা করতে হবে। এব্যাপারে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা, জেলা পরিষদের একাধিক কর্মাধ্যক্ষ, বিধায়ক শম্পা ধাড়া, নিশীথ মালিক, জেলা ডিআরডিসির প্রকল্পাধিকারিক অভিজিত ঘোষ প্রমুখরা। উল্লেখ্য, ৫দিনের এই মেলায় মোট ৩০টি স্টল করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী তাঁদের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন এই মেলায়।