তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার, সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে আলোচনা করবেন মমতা-অভিষেক

মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী সোমবার, ২৫ নভেম্বর, কালীঘাটে দলের জাতীয় কর্মসমিতির (TMC National Working Committee Meeting) বৈঠক ডেকেছেন। এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন…

Is Abhishek Banerjee Joining BJP? TMC MP Denies Rumors, Vows to Shout Only Mamata Banerjee's Name

short-samachar

মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী সোমবার, ২৫ নভেম্বর, কালীঘাটে দলের জাতীয় কর্মসমিতির (TMC National Working Committee Meeting) বৈঠক ডেকেছেন। এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন দলের যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়কদেরও ওই বৈঠকে(TMC National Working Committee Meeting) উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

   

দলের সংগঠন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সাংগঠনিক (TMC National Working Committee Meeting) রদবদল নিয়ে আলোচনা চলছিল, সেই রদবদল কি এবার সত্যিই বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সংশয় কাটতে পারে এই বৈঠকের মাধ্যমে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বৈঠকে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

সোমবার থেকেই রাজ্য বিধানসভায় (TMC National Working Committee Meeting) শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে, তেমনই লোকসভাতেও অধিবেশন শুরু হবে। সুতরাং, এই দিনটি রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, বিধানসভার (TMC National Working Committee Meeting)  প্রথম দিনটি সাধারণত শোকপ্রস্তাব পাঠ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাই অধিবেশন শুরুর দিন পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে সাংসদ ও বিধায়কদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিতে পারেন।

তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমসহ শীর্ষ নেতারা কালীঘাটে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। দলীয় সূত্রে খবর, অনেকদিন ধরেই সাংগঠনিক রদবদলের প্রস্তুতি চলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি সাংগঠনিক রদবদলের প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। এই বৈঠকের পরেই দলীয় সংগঠন এবং নেতৃত্বে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে এই বৈঠকের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ পথচলা সম্পর্কে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, দলের সংগঠন সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, বিশেষ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত রদবদল এবং নেতৃত্বের দায়িত্বে পরিবর্তন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

অন্যদিকে, শীতকালীন অধিবেশনকে কেন্দ্র করে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সংসদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল এবং বিষয় আলোচনার জন্য উত্থাপন হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো ওয়াকফ বিল। এর প্রভাব নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সংসদে আলোচনা তীব্র হতে পারে। গতবার তৃতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংসদে আনা হয়েছিল। ওই বিলটি পরবর্তীতে লোকসভায় পেশ করা হয় এবং এর পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছিল।

তবে, বিরোধী দলের সদস্যরা দাবি করেছেন, এই বিলের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আরও গভীর আলোচনা প্রয়োজন। তারা মনে করেন, বিলটি সম্পূর্ণভাবে খতিয়ে দেখা না হলে, এর মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পত্তি এবং তাদের অধিকার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, শীতকালীন অধিবেশন শুরুর প্রথম সপ্তাহেই সংসদীয় কমিটি এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। তবে এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে, আর এর প্রভাব যে তৃণমূলের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তা বোঝা যাচ্ছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক এবং শীতকালীন অধিবেশন একসঙ্গে হওয়ায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। বিশেষ করে, সাংগঠনিক রদবদল এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নতুন সিদ্ধান্তগুলি তৃণমূলের ভবিষ্যৎ রাজনীতি এবং কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এদিকে, কিছু বিশেষজ্ঞের মত, তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সাংগঠনিক রদবদল হলে, তার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এবং আগামী নির্বাচনে দলের অবস্থানকে পুনর্নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে অনেক নেতাই মনে করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের রদবদল এবং নতুন পদক্ষেপ আগামী নির্বাচন এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

এই বৈঠকের পর যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে থাকে, তাহলে তা শুধুমাত্র তৃণমূলের জন্যই নয়, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।