Mamata Banerjee: বড় দোষ স্বীকার মমতার! ভোটের মাঝে হঠাৎ বোধদয়?

দুয়ারে ভোট সপ্তমী। তার আগেই পাঁচ বছর আগের বড় ভুল কবুল করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো! ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে যাদবপুর থেকে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী…

Mamata Banerjee admits that it was a mistake to make Mimi Chakraborty TMC candidate for Jadavpur in 2029

দুয়ারে ভোট সপ্তমী। তার আগেই পাঁচ বছর আগের বড় ভুল কবুল করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো!

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে যাদবপুর থেকে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। তবে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে এই তারকা প্রার্থী তৃণমূলের টিকিট পাননি। দলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তাঁর মতভেদ নিজেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন মিমি। তারপরই নিজেই রাজনীতি থেকে বাণপ্রস্থে যাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন এই অভিনেত্রী। জানিয়েছিলেন যে, লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তিনি আর প্রার্থী আগ্রহী নন।

   

এবার মিমির পরিবর্তে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সায়নী ঘোষকে। তিনিও অভিনেত্রী। তবে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই এই তারকা সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন। লড়েছেন একুশের বিধানসভা ভোটে। তারপরই দলের যুব সংগঠনের সভানেত্রী করা হয় সায়নীকে। রবিবার বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় সায়নী ঘোষের সমর্থনেই প্রচারসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই যাদবপুরে বিদায়ী তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ টানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রচারসভায় প্রার্থী পরিচয় করাচ্ছিলেন মমতা। তখনই সায়নীকে কাছে ডেকে নেন তিনি। তারপরই ব্যাখ্যা করেন কেন যাদবপুর আসনে প্রার্থী বদল করেছে তৃণমূল।সায়নীর হাত উঁচু করে ধরে দলনেত্রী বলেন, ‘আমার প্রার্থী সায়নী। আগের বার আপনারা অতটা সার্ভিস পাননি। সায়নী এলাকায় পড়ে থেকে লড়াই করবে এবং দাঁতে দাঁত দিয়ে উন্নয়নের কাজ করে যাবে।’

ফের একুশের আতঙ্ক, বাংলায় আবারও ভোট পরবর্তী হিংসা! বিজেপি নেতাকে ফেলে মারধরের অভিযোগ

তবে নেত্রী এ জন্য মিমিকে দায়ী করেনি। উল্টে বলেছেন ‘আগেরবার তাঁর (মিমির) অবশ্য কোনও দোষ ছিল না। তিনি নিজের ফিল্ম জগতে ব্যস্ত। এটা আমাদেরই দোষ ছিল। সে জন্য আমরা শুধরে নিয়েছি।’

উনিশের ভোটে জেতার পর সাংসদ মিমিকে সেইভাবে আর পায়নি যাদবপুরের বাসিন্দারা। এই অভিযোগ ছিলই। চড়ছিল ক্ষোভ। যা আঁচ করতে পেরেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্বও। এরপর চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের ‘জনগর্জনের’ সমাবেশ থেকে লোকসভা ভোটের তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় ঠাঁই হয়নি মিমি চক্রবর্তীর। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জোড়-ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নাম ঘোষমা করা হয় দলের যুব সংগঠনের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের।