মহেশতলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে লুটপাট,উধাও টাকা-গয়না

মহেশতলা (Maheshatla) বাটার মোড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের (bank) শাখা অফিসে ঘটে গেল ডাকাতির (robbery) ঘটনা। সোমবার সকালে ব্যাঙ্কের কর্মীরা অফিস খুলতে গিয়ে দেখতে পান ভিতরে সমস্ত…

Maheshatla bank robbery

short-samachar

মহেশতলা (Maheshatla) বাটার মোড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের (bank) শাখা অফিসে ঘটে গেল ডাকাতির (robbery) ঘটনা। সোমবার সকালে ব্যাঙ্কের কর্মীরা অফিস খুলতে গিয়ে দেখতে পান ভিতরে সমস্ত কিছু তছনছ হয়ে রয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত মহেশতলা থানায় ফোন করেন ম্যানেজার। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, চুরির ঘটনায় ব্যাঙ্কের ভিতরের কোনো লোক জড়িত থাকতে পারে, কারণ গেটের তালা খুলে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকেছিল এবং সিসিটিভির কানেকশনও খুলে দেওয়া হয়েছিল।

   

এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিকে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এক নিরাপত্তা কর্মীকে ইতোমধ্যেই জেরা করা শুরু হয়েছে এবং গোয়েন্দারা ব্যাঙ্কের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

পুলিশের তদন্তে জানা গিয়েছে, চুরির সময় ব্যাঙ্কের সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল, অর্থাৎ শনিবার এবং রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। সোমবার সকালে যখন কর্মীরা ব্যাঙ্ক খোলেন, তখন তারা দেখতে পান সমস্ত কিছু এলোমেলো হয়ে রয়েছে এবং কিছু জিনিস গায়েব হয়ে গেছে। তবে, এখন পর্যন্ত কত টাকা এবং কী কী সামগ্রী চুরি হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছু মূল্যবান সামগ্রী এবং টাকা চুরি গেছে, তবে পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি।

গ্রাহকদের জন্য সুখবর, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে যে লকারগুলো সুরক্ষিত রয়েছে এবং গ্রাহকদের কোনো ক্ষতি হয়নি। পুলিশ এবং ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পুলিশের তরফে জানিয়েছেন, চোরদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে এবং ব্যাঙ্কের সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হবে।

এই ঘটনার পর মহেশতলা এলাকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে এবং পুলিশ ব্যাঙ্কের আশেপাশে গাঁথাগাঁথি রাখছে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে যে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।