ভোট দিতে বাধা! অভিষেকের ‘খাসতালুকে’ ইভিএম জলে ফেললেন গ্রামবাসীরা

সপ্তম দফার ভোট (Lok Sabha Election) চলছে রাজ্যজুড়ে। বাংলার ৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আজ। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে। এরই মধ্যে ঘটল…

EVM

সপ্তম দফার ভোট (Lok Sabha Election) চলছে রাজ্যজুড়ে। বাংলার ৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আজ। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে। এরই মধ্যে ঘটল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ভোটদানে বাধা দেওয়ায় সাতসকালেই ইভিএম এবং ছুড়ে জলে ফেলে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর লোকসভার কুলতলির।

কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিরোধী এজেন্টদের বসতে দিচ্ছিল না রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে ভোটারও ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। জয়নগরের বিজেপি প্রার্থী অশোক কাণ্ডারীর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অশান্তি করলেও কার্যত দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

   

ভোট প্রক্রিয়া শুরু, এদিকে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান!

গ্রামবাসীরা ছাড়াও বিজেপির প্রার্থী তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেও তা মানতে চায়নি রাজ্যের শাসকদল। উল্টে তাদের দাবি, সকাল থেকে ভোট শান্তিপূর্ণই হচ্ছিল। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঝামেলা বাধিয়েছে। কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডলের দাবি, ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হচ্ছে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জোর করে ইভিএম ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে জলে ফেলে দেয়।

আজ, শনিবার সপ্তম দফায় রাজ্যের ৯ কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে। সেগুলি হল – বারাসত, দমদম, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সব কটি আসনই তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল। তৃণমূলের গড়ে এবার পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। একই সঙ্গে হারানো জমি ফিরে পেতে তৎপর বামেরাও।

লোকসভা ভোটের আগের দিন প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক

দক্ষিণবঙ্গের এই আসনগুলিতে লড়াই তাই হাড্ডাহাড্ডি। আগের দফাগুলিতে বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল হওয়ার এবারে সতর্ক কমিশন। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কুইক রেসপন্স টিম মোতায়েন করা হয়েছে শেষ দফার নির্বাচনে। সপ্তম দফার ৯ আসনে মোট বুথের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৭০টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৪৮টি বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলায় এখন রয়েছে মোট ১০২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে আজ, সপ্তম দফার ভোটে ব্যবহার করা হচ্ছে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্ট্রং রুমের নিরাপত্তায় ১৩ হাজার পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

গণনায় কারচুপি করে সিট দখল করার ছক কষছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

সপ্তম দফার ভোটে রেকর্ড সংখ্যক কুইক রেসপন্স টিম রয়েছে বাংলায়। শনিবার রাজ্যের ৯ কেন্দ্রে কুইক রেসপন্স টিমের সংখ্যা ১৯৫৮। এর মধ্যে কলকাতায় থাকছে ৬০০ কুইক রেসপন্স টিম। এর আগে কোনও দফায় এত সংখ্যক কুইক রেসপন্স টিম ছিল না। কমিশনের দাবি, এবার মাত্র ১৫ মিনিটে স্পটে পৌঁছে যাবে কিউআরটি।