খাস কলকাতায় সিপিএমের প্রচারে (Lok Sabha Election) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ, রবিবার সকালে কালীঘাটে প্রচার করছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। সেই সময় মমতার পাড়া, অর্থাৎ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্যামফ্লেট বিলি করার জন্য যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় সিপিএম প্রার্থীকে বাধা দেয় পুলিশ।
হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢোকার মুখে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন সায়রা শাহ হালিম, হাওড়ার সিপিএম প্রার্থী তথা আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। তাঁরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাম কর্মী-সমর্থকরা।
পুলিশকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্র নিয়ে বড় বড় ভাষণ দেন। অথচ তাঁর পাড়াতেই গণতন্ত্রের এই হাল! মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় কেন প্রচার করা যাবে না? এদিকে পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই আটকানো হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে ‘রেমাল’, বিরাট বিপর্যয়ের আশঙ্কা একাধিক জেলায়
সিপিএমের দাবি, পুলিশকে বলা হয় প্রার্থী-সহ ৩ জন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্রচার করতে যাবে। তা সত্ত্বেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি। পুলিশকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মীনাক্ষী। তাঁর কথায়, বাড়িতে উর্দি পরার সময় মেরুদণ্ডটাও লাগিয়ে নেবেন। এঁরা আপনাদের বাঁচাবেন না, দেখে নেবেন। কাল যদি বিপদে পড়েন, মিলিয়ে নেবেন।
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী। তাঁর দাবি, চার বার ফোন করার পরও ফোন ধরেনি কমিশন। মনে হয়, ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে। মমতাকে আক্রমণ করে বামনেত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া তাঁর জমিদারি নয়। এভাবে চাইলেই কাউকে ভোটের প্রচার করা থেকে আটকানো যায় না।
চটে লাল মমতা! দলীয় বিধায়ককেই পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার নিদান ‘দিদি’র