গণনায় কারচুপি করে সিট দখল করার ছক কষছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

আগামী কাল সপ্তম দফায় (Lok Sabha Election) রাজ্যের ৯ কেন্দ্রে নির্বাচন। তার আগে বিরাট অভিযোগ তুললেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগগা। ১৯…

lok-sabha-election-bjp-mla-manaj-tigga-file-complaint-at-election-commission

আগামী কাল সপ্তম দফায় (Lok Sabha Election) রাজ্যের ৯ কেন্দ্রে নির্বাচন। তার আগে বিরাট অভিযোগ তুললেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী তথা মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগগা। ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার আসনের ভোট হয়েছে। 

মনোজের দাবি, টাকা ছড়িয়ে আলিপুরদুয়ার আসন দখলের ছক কষছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

   

তৃণমূলের বক্তব্য, আলিপুরদুয়ার সিট যে হাতছাড়া হতে চলেছে, তা বুঝে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই গা বাঁচাতে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। মনোজ টিগগার অভিযোগ, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি হয়ে আলিপুরদুয়ারে টাকা এসেছে। রীতিমতো গ্রিন করিডোর করে সেই টাকা এনেছে পুলিশ।

লোকসভা ভোটের আগের দিন প্রয়াত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক

শুক্রবার দলের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগগা। সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তোলেন তিনি।

পঞ্চায়েত ভোটে কারচুপি করে প্রচুর সিট জিতেছিল তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ মনোজের। তাঁর আশঙ্কা এবারও সেই পথেই হাঁটতে পারে তৃণমূল।

মনোজ বলেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ)-এর নেতৃত্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে কারচুপি করে তৃণমূল হারা প্রার্থীদের জিতিয়ে দেওয়া হয়। এবারও উনি সেই চেষ্টা করতে পারেন। তাই গোটা গণনা পর্ব থেকে ওনাকে বিরত রাখতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠিয়েছি।

১৫ মিনিটেই পৌঁছবে QRT, সপ্তম দফার ভোটে বিরাট পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয় পায় বিজেপির জন বার্লা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করা হয় তাঁকে। যদিও এবার আর বার্লাকে টিকিট দেয়নি গেরুয়া শিবির। প্রথমে দলীয় প্রার্থী মনোজের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও পরে বিদ্রোহের ঝাঁজ কমান বার্লা।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা আসনেই জয় পায় বিজেপি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে দেখা যায় অন্য চিত্র। জেলায় দাপট দেখায় ঘাসফুল। সিংহভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির পাশাপাশি জেলা পরিষদও দখল করে শাসকদল তৃণমূল।

সব রাজ্যকে হেলায় টেক্কা বাংলার, দেশে জিতলেও বঙ্গভূমে মোদীকে বলে বলে গোল মমতার!