বিশ্বকর্মা পুজোয় হাসপাতালে মদের আসর, ধৃত দুই

৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা পুরো নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকে সেই হাসপাতলের নিরাপত্তা নিয়ে…

৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা পুরো নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকে সেই হাসপাতলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে চিকিৎসকরা। এমন আবহে ফের একটি সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা পড়ল প্রশ্নের মুখে। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar Hospital) একটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে মদের আসর বসানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঠিক কী হয়েছিল?

সোশ্যাল মিডিয়ায় নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল চত্বরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওটি বিশ্বকর্মা পুজোর রাতের অর্থাৎ মঙ্গলবারের। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘরে কয়েকজন মদের বোতল পাশে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করছেন। জানা যাচ্ছে, যে ঘরটিতে ‘মদের আসর’ বসেছে সেই ঘরটি হাসপাতাল চত্বরে।

   

হাসপাতালে পূর্ত বিভাগের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের পাশে যে নার্সিং স্কুল রয়েছে সেখানকার একটি ঘরে মদ্যপান করছিলেন ওই কর্মীরা। জানা যাচ্ছে, সেই ঘরে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার রাজশ্রী বসু মল্লিকও নাকি উপস্থিত ছিলেন। পূর্ত দফতরের দাবি, কৃষ্ণনগরের হাটখোলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাজা মিত্র এবং অমিয় বিশ্বাস নামে দুই ধৃতই ঠিকাকর্মী।

পুলিশের সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন হাসপাতাল চত্বরের একটি ঘরে বহিরাগতদের নিয়ে মদ্যপান করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরে দুই কর্মীকে ধরেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বুধবারই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করানো হবে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় মিত কুমার মাকোয়ান বলেছেন, “দু’জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের নিরাপত্তাও বাড়ানো হচ্ছে।”

তবে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত সরকার। তাঁর কথায়, “জেলা হাসপাতাল এলাকার মধ্যেই পূর্ত দফতরের বৈদ্যুতিক বিভাগের একটি ছোট্ট দফতর রয়েছে। সেখানেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা কেউ হাসপাতালের কর্মী নন।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।

সেখানে নিরাপত্তার দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাগাতার আন্দোলন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আর এরই মধ্যে ফের একটি সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।