বিধানসভায় জোট করে লড়াই করে বিপদ হয়েছিল। পাহাড় প্রমাণ বিপর্যয় নেমে আসতেই বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস৷ পরে সাগরদিঘির নির্বাচন প্রমাণ করেছিল তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে জোট একমাত্র রাস্তা। এখন সেই জোটের (Lok Sabha Elections) জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন সিপি(আই)এমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম৷
এদিনের সভা থেকে তিনি বলেন, উপর থেকে নীচ পর্যন্ত যখন মানুষ এককাট্টা হয় তখন নেতারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। ১১ মে সিউড়িতে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সমাবেশ রয়েছে। সেখানে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হিসাবে আমিও থাকব, আবার কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে অধীরবাবুও থাকবেন বলেছেন। বিজেপি আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে কীভাবে তৃণমূল স্তরের মানুষ এককাট্টা হচ্ছে সেখানেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তবে কী আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট করেই লড়বে? সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্যে তা কার্যত স্পষ্ট৷ যা নিয়ে কটাক্ষ করতে পিছপা হয়নি তৃণমূল৷ শাসক দলের বক্তব্য, ডিএ আন্দোলনের নামে, মিছিলের নামে, সিপিএমের হার্মাদ, কংগ্রেসের উন্মাদ আর বিজেপির জল্লাদরা এক হয়ে কীভাবে তাণ্ডব করল তা তো দেখা গিয়েছে।
একই মঞ্চে আব্দুল মান্নান, কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচি, সিপিএমের নেতাদের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকেও দেখা গেল। এতেই তো প্রমাণ হয়ে গেল ওরা একে অপরের উপর ভরসা করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।৷