বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে ইতি উতি জল্পনা ‘কেষ্ট দা (Anubrata Mandal) ফিরবেন তো?’ ‘ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাবে সিবিআই? বোলপুরের বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। ভারি চেহারার কেষ্ট দা কলকাতা যাবার আগে ঘনিষ্ঠ মহলে বলে গেলেন, ‘সব রইল দেখিস। দরকারে দিদির কথা শুনিস।’ বুধবার সিবিআইয়ের (CBI) সামনে তিনি হাজির হবেন। তারপর? গোরু পাচার মামলায় তার সঙ্গে মোলাকাত করতে সিবিআই মু়খিয়ে আছে।
কলকাতা পৌঁছে চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে উঠেছেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর থেকে কলকাতা আসার সময়ে ঘন ঘন ফোনে কথা বলেছেন তিনি। কলকাতায় রাতে বিশেষ বৈঠক হবে কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে। মূলত তাঁরাই পাখিপড়া করে বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করাবেন। অনুব্রত মণ্ডল বাধ্য ছাত্রের মতো সেসব মুখস্ত করবেন।
আইনজীবীদের শেখানো লাস্ট মিনিট সাজেশন মুখস্ত করা, পুরনো পড়া ঝালিয়ে নেওয়া সবই হবে চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে। মাঝে কয়েকবার দলের অত্যন্ত শীর্ষ কারোর সঙ্গে কথা বলবেন অনুব্রত। তারপর খাওয়া ও ঘুম। বুধবার সকাল ১১টায় সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেবেন অনুব্রত মণ্ডল।
সূত্রের খবর, আদালত রক্ষাকবচের আবেদন নামঞ্জুর করার পর থেকে এমন ক্লাস করতে শুরু করেন অনুব্রত মণ্ডল। কারণ, গোরু পাচার মামলায় তাঁকে জেরা করে সন্তুষ্ট না হলে হেফাজতে নেবে সিবিআই। ওডিশার ভূবনেশ্বরে নিয়ে যাবে।
গোরু পাচার মামলায় মুখ্যমন্ত্রী তথা টিএমসি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও অনুব্রতর গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন। বীরভূম জেলা টিএমসি মহলের গুঞ্জন, কেষ্ট দা’র (অনুব্রত) বুক কাঁপছে। তিনি সিঁটিয়ে আছেন। তাঁর শরীর ভালো নয়, যে কোনও সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
গোরু পাচার মামলার সূত্র ধরে বীরভূম জেলা থেকে কয়লা ও বালি পাচার সংযোগের সূত্র খুঁজছে সিবিআই। এই কয়লা ও বালি পাচারের বখরা নিয়ে টিএমসির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হয়েছে গণহত্যা। সরকারি হিসেবে ৯ জন মৃত। বেসরকারি হিসেবে ১২-১৪ জনকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে খুন করা হয়। গণহত্যা এই তদন্তের সূত্র নিতে সিবিআই তদন্ত চালাচ্ছে বগটুই গ্রামে। নিহতদের পরিবারের তরফে অনেকেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন।