কলকাতা: গাড়ি নিয়ে গয়ার উদ্দশে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পথে মদ্যপ যুবকদের খপ্পরে পরেন তাঁদের গাড়ি৷ মত্ত যুবকদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে মৃত্যু হল এক তরুণীর৷ মৃত তরুণীর নাম সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার আধিকারিক বলে জানা গিয়েছে। তরুণী চন্দননগরের নাড়ুয়া রায়পাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্দেশে পাঁচজনের একটি দল গাড়ি নিয়ে রওনা হয়েছিল। বুদবুদ থানার একটি পেট্রল পাম্পে তেল নেওয়ার জন্য তাঁরা গাড়ি থামান৷ সেখানে কয়েকজন মত্ত যুবক এসে গাড়ির দিকে কটূক্তি করতে শুরু করেন। ওই যুবকরা পরে নিজেদের গাড়ি নিয়ে সুতন্দ্রার গাড়ির পিছু ধাওয়া করতে থাকে। ভয় পেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে শুরু করেন সুতন্দ্রার গাড়ির চালক।
পানাগড় বাজারের রাইসমিল রোডে গিয়ে মত্ত যুবকদের গাড়ি সুতন্দ্রার গাড়িটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। এর পরই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি দোকানে ধাক্কা মারে৷ পরে একটি শৌচাগার ও লোহার যন্ত্রাংশে আঘাত করে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার।
গাড়িতে থাকা অন্য চারজন আহত হলেও তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়। কাঁকসা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং সুতন্দ্রার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, মত্ত যুবকদের গাড়ি আটক করা হলেও তাঁরা পালিয়ে গেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “আমরা গাড়িটি উদ্ধার করেছি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চালাচ্ছি।”
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সুতন্দ্রা চন্দননগরের নাড়ুয়া রায়পাড়ার বাসিন্দা এবং একজন প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী ছিলেন। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ তিনি গয়ার উদ্দেশে গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন।
এ দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং কটূক্তির পর পিছু ধাওয়া করার মতো ঘটনা মান্যযোগ্য নয়, এমনটাই তাঁদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।