Raj Bhavan CCTV Footage: সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে নয়া বিতর্কে রাজ্যপাল, মুখ খুললেন ওই অভিযোগকারিণী

শ্লীলতাহানি ইস্যুতে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন বাংলার রাজ্যপাল? বৃহস্পতিবার রাজভবন (Raj Bhavan) কর্তৃপক্ষ ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছেন। আগ্রহীদের তা দেখানোও হয়েছে। সেখানেই…

lady complainant questioned why the cctv footage was shown outside by Raj Bhavan without her permission

শ্লীলতাহানি ইস্যুতে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন বাংলার রাজ্যপাল? বৃহস্পতিবার রাজভবন (Raj Bhavan) কর্তৃপক্ষ ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছেন। আগ্রহীদের তা দেখানোও হয়েছে। সেখানেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা রাজভবনের সেই অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে দেখা গিয়েছে দু’বার। যা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ওই মহিলা কর্মী। কী ভাবে রাজ্যপাল তাঁর অনুমতি ছাড়া ওই ফুটেজ প্রকাশ করলেন সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে। অভিযোগকারিণীর দাবি, ‘আবার তো উনি (রাজ্যপাল) নতুন করে অপরাধ করলেন।’

রাজ্যপালের নির্দেশে এ দিন যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে রাজভবন কর্তৃপক্ষ তাকে নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন অভিযোগকারিণী। বলেছেন, ‘রাজ্যপাল মহাশয় নিজে এ রকম একটা কুরুচিকর কাজ করলেন, এখন আবার নিজের দোষ ঢাকতে হাস্যকর নাটক মঞ্চস্থ করলেন। সেটা করতে গিয়ে উনি আমার অনুমতি ছাড়া আমার ফুটেজ প্রকাশ্যে আনলেন‌। আমি জানতাম ভারতীয় আইন‌ অনুযায়ী, অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রাখা উচিত। উনি প্রথম থেকেই এই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। এর আগেও উনি অপরাধ করেছেন। এখন আবার আমার অনুমতি ছাড়া ফুটেজ ভাইরাল করে নতুন করে অপরাধ করলেন।’

   

ফুটেজ প্রকাশ নিয়ে তিনি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও সাফ জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী।

আরও পড়ুন- CV Ananda Bose: অবশেষে প্রকাশ্যে রাজভবনের সেদিনের ফুটেজ! কী রয়েছে সেখানে?

প্রকাশিত ফুটেজে দেকা গিয়েছে, রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে বসানো দু’টি ক্যামেরায় একবার মহিলাকে রাজভবনের দিক থেকে বেরিয়ে পুলিশ আউটপোস্টের দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। কিছু ক্ষণ পর ফের আউটপোস্ট থেকে বেরিয়ে পাশের ঘরে যেতে দেখা গিয়েছে।

অভিযোগকারিণীর দাবি, ‘রাজভবনের উপরে ঘটনাটি ঘটেছিল। সেখান থেকে নেমে আমি সেক্রেটারির ঘরে গিয়েছিলাম। তার পর আউটপোস্টে যাই। প্রথম থেকেই উনি (রাজ্যপাল) তদন্তে অসহযোগিতা করছেন।‌ উনি যদি সৎ হতেন, প্রথম দিনেই ফুটেজ পুলিশকে দিয়ে দিতেন। আসলে নিজের পদে থেকে উনি যা খুশি তাই করে চলেছেন। নিজের অসুস্থ মস্তিষ্কের পরিচয় দিচ্ছেন। পুলিশ আমাকে সাহায্য করছে। কিন্তু আমি এবং আমার পরিবার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।’

এই ঘটনায় ভয় না পেলেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত না এগনোয় তিনি যে ‘হতাশ’ তা স্পষ্ট করেছেন ওই অভিযোগকারিণী।