যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির ডাকে আজ রাত দখলের ডাক দিয়েছে বাম বাহিনী (Kunal)। অভয়া কাণ্ডের বর্ষ পূর্তিতে এই প্রথম বামেরা রাত দখলের ডাক দিয়েছে। এই রাত দখল কর্মসূচিকে “নারী নির্যাতনের খলনায়কদের রাতের পিকনিক” বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল তার এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে সাফ জানিয়েছেন যারা ৩৪ বছর ধরে নির্বিচারে বাংলায় নারী নির্যাতন করেছে তারা আজ অভয়া কান্ড নিয়ে রাস্তায় পিকনিক করতে বেরিয়েছে।
কুণাল তার পোস্টে সাফ বুঝিয়েছেন বামেদের এই রাত দখলের কর্মসূচি শুধুমাত্র রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। তিনি স্পষ্টতই বোঝাতে চেয়েছেন যে অভয়া কাণ্ডের প্রথম দিন থেকে বামেরা এই নক্কারজনক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। তিনি তার পোস্টে ১৯৯০ সালের বানতলার অনিতা দেওয়ান ধর্ষণ কান্ড মনে করিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়েছেন নেতাইয়ের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা। আবার বিজ্ঞ সেতুর উপরে আনন্দমার্গীদের পুড়িয়ে মারার ঘটনাও তিনি উল্লেখ করেছেন তার পোস্টে। তিনি সিপিএমের এই রাতদখল টিমকে নারী নির্যাতনকারীদের উত্তরসূরি বলেও কটাক্ষ করেন। আবার তার পোস্টে তিনি এও বলেন রাতদখলের জন্য এক অল্পবয়সি বাম নেতাকে মদের দোকানে লাইন দিতে দেখা গেছে।
স্বভাবতই তৃণমূল মুখপাত্রের এই পোস্ট ঘিরে নানা মুনির নানা মত। সমালোচকদের একাংশ কুণালের এই পোস্টকে সমর্থন করে বলেছেন ৩৪ বছরের বাম শাসনে বাংলা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। শিক্ষা থেকে শিল্প কোনো ক্ষেত্রেই মনে দাগ কাটতে পারেনি সিপিএম জমানা। আবার অনেকে অভিযোগ করছেন সিপিএম মানেই সন্ত্রাসের রাজনীতি এবং বাম শাসনকালে নৃশংস হার্মাদরা যেভাবে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করেছে।
যেভাবে আইন শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দুর্নীতি করেছে তারপর এই ধরণের কর্মসূচি কেউ মেনে নেবে না। আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশ তারা কুণালের বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তারা বলেছেন তৃণমূল প্রথম দিন থেকে অভয়া কাণ্ডে অসহযোগিতা করেছে। প্রমান লোপাট থেকে শুরু করে সন্দীপ ঘোষের মত দুর্নীতিপরায়ণ ডাক্তারদের আশ্রয় দিয়েছে।
খালিদের প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন ভিন্সি ব্যারেটো
তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন কুণাল সিপিএমকে দোষারোপ করে সাধু সাজছেন। তবে বেশ কিছু সমালোচক মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল, সিপিএম কিংবা বিজেপি অভয়া কাণ্ডে ন্যায় বিচার কিন্তু এখনও অধরা। তাই এই নিকৃষ্টতম ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করে ন্যায় বিচারের জন্যই ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত।