‘রাজনৈতিক ফায়দার নাটকে জড়িয়ে অসম্মান অভয়ার!’, কুনালের পোস্টে চাঞ্চল্য

আরজিকরের পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উঠেছিল বিতর্ক (Kunal)। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণ এবং তারপরে হত্যা এই মর্মেই তদন্ত হয়েছিল। পরে অবশ্য তদন্ত যত এগিয়েছে…

Kunal ghosh post

আরজিকরের পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উঠেছিল বিতর্ক (Kunal)। প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণ এবং তারপরে হত্যা এই মর্মেই তদন্ত হয়েছিল। পরে অবশ্য তদন্ত যত এগিয়েছে নানা মুনি তাদের নানা মতে সাজিয়েছেন এই নক্কার জনক ঘটনার কেস হিস্ট্রি। তদন্তের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ধরা পড়েন সঞ্জয় রাই। যাকে মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়।

তার সাথে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মন্ডল সহ আরও কিছু অভিযুক্তকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে তারা জামিনে খালাস পেয়ে গিয়েছেন। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই এর অবশ্য প্রথমে ফাঁসি এবং তারপরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে। আগামী ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযান থাকবেন অভয়ার পরিবার এবং তাদের পিছনে থাকবে বিজেপির একটি মিছিল।

   

যার নেতৃত্ব দেবেন সম্ভবত স্বয়ং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করেই তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ তার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেন। যে পোস্টে তিনি লিখেছেন যে ‘এই ঘটনা সারা দেশ জুড়েই হচ্ছে এবং বাংলায় এই ঘটনা আগে আরও হত’। তিনি আরও বলেছেন সিবিআই নয় খোদ কলকাতা পুলিশের তদন্তে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত।

শুধু তাই নয় বিচার হয়ে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে। স্বভাবতই তার এই পোস্ট কেন্দ্র করে মানুষ দিয়েছেন তাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের প্রতিক্রিয়ায় উঠে এসেছে এই ঘটনায় প্রমান লোপাটের ভূমিকা। একটি নাম করা মেডিক্যাল কলেজে মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আবার কেউ বলেছেন এই পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ন কিন্তু সঞ্জয় কে যারা বলির পাঁঠা বানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা আইনি পদক্ষেপ কেন নেওয়া হলনা।

কুনাল তার পোস্টে আরও বলেছেন যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ সফল করতে চাইছে এবং রাজ্য সরকারকে ব্যর্থ প্রমান করতে চাইছে। তার সঙ্গে অভয়ার পরিবারও এই মিথ্যে রাজনৈতিক নাটকের মধ্যে নিজেদের জড়িয়ে ফেলেছেন। কাজেই এতে অভয়ার ন্যায় বিচার তো দূরস্থান তার অসম্মান হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। কুনালের এই মন্তব্যে সমালোচকদের একাংশ এই মন্তব্যকে যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেছেন।

Advertisements

তারা বলেছেন যে এই ঘটনার পর দলমত নির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। রাত দখল, রাস্তা দখলের মত কর্মসূচিও হয়েছে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো জন্য। সবচেয়ে বড় কথা জুনিয়র ডাক্তার রা যারা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনশনে বসেছিল আজ তারাও এই নবান্ন অভিযানে থাকবে না বলে অফিসিয়ালি জানিয়ে দিয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে বিপাকে বাজার, আকাশছোঁয়া সবজির দাম

সুতরাং এই প্রতিবাদের ব্যাটন কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের হাতে না দিলেই ভালো হত বলে মনে করছেন অনেকে। অভয়া পরিবার দিল্লিতে সিবিআই মূল দফতরে দেখা করলেও তারা কার্যত কোনো আশার বানী শোনাননি তার চেয়েও বড় কথা তদন্ত আর না চালানোর ইঙ্গিতও দিয়েছেন। আগামীতে নবান্ন অভিযানে কি হতে চলেছে তা কারুর ই জানা নেই কিন্তু অভয়া পরিবারের এই সিদ্ধান্ত কি আদৌ ন্যায়বিচার এনে দিতে পারবে? তা সময় ই বলবে।