কেন্দ্রীয় সরকারের জিলিপি ও সিঙাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা আগেই করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (Kunal)। আজ কলকাতার তৃণমূল ভবনে তারই প্রতিবাদে হাতে সিঙাড়া, জিলিপি এবং ফিশ ফ্রাই নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদে দেখা গেল দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ও বর্ষীয়ান নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। সমাজ মাধ্যমে এই ছবি শেয়ার করে কুনাল জানিয়েছেন “খাদ্যের গুণমান ঠিক থাকলে যা ইচ্ছে খেতে পারেন।”
এই প্রতিবাদের মাধ্যমে তৃণমূল কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে ‘জনবিরোধী’ এবং ‘সাংস্কৃতিক হস্তক্ষেপ’ বলে টার্গেট করতে চেয়েছে তা বলাই বাহুল্য।কুনাল ঘোষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, “মানুষ যা ইচ্ছা তাই খাবেন, এতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই।
সিঙাড়া, জিলিপি বা ফিশ ফ্রাই বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতির অংশ। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কেবল জনগণের স্বাধীনতার উপর আঘাত নয়, বাংলার সংস্কৃতির উপরও হস্তক্ষেপ।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কুনালের মতে বাঙালি যা ইচ্ছে খেতে পারেন শুধু খাবারের গুণমান ঠিক থাকলেই হবে।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও এই প্রতিবাদে যোগ দিয়ে কুনালের শুরে সুর মিলিয়েছেন। তিনি কেন্দ্রের এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে সমালোচনা করেন। তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় জনগণের অধিকারের পক্ষে লড়াই করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধেও তৃণমূল কংগ্রেস তার প্রতিবাদ জানায়।”তৃণমূল ভবনে সিঙাড়া জিলিপি ভাগ করে নিয়েছেন দলের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরাও। সমাজ মাধ্যমে এই ছবি তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
কুনাল ঘোষের এই ধরণের ছবি পোস্টের তাৎপর্য হতে পারে আজকের প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর। তৃণমূল মুখপাত্র আগেই মোদীর ভাষণকে সত্যের অপলাপ বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি এও বলেছেন আজকের ভাষণের পর বিজেপি ৪০ এর বেশি সিট পাবেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। কুনাল বলেছিলেন মোদীর এই সফর একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পুরস্কার! নেতৃত্বের দায়িত্বে নীতীশ রেড্ডি
তিনি বিভিন্ন তহবিলের টাকা আটকে রেখেছেন। কিন্তু তারপর ও তিনি জলপাইগুড়িকে গোলাপি শহর এবং বীরভূমকে বেঙ্গালুরু বানানোর পরিকল্পনা করছেন। এটা তঞ্চকতা ছাড়া আর কিছু হতে পারেনা। তাই হয়তো আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে কুনাল এবং চন্দ্রিমার এই অভিনব নিঃশব্দ প্রতিবাদের সাক্ষী তৃণমূল ভবন।