কুলতলি ধর্ষণ-কাণ্ডে ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা বারুইপুর আদালতের

Kultali rape case

কুলতলি (kulatli) নাবালিকা ধর্ষণ (rape) ও খুনের ঘটনায় (case) ফাঁসির সাজা শোনাল বারুইপুর আদালত। শুক্রবার দুপুরে এই ফাঁসির (sentence) সাজা শোনানো হয় দোষী মুস্তাকিন সর্দারকে। শুক্রবার প্রায় ২ ঘণ্টার সওয়াল-জবাব শেষে মুস্তাকিন সর্দারের মৃত্যুদণ্ড শোনালেন বারুইপুর (Baruiyapur) পকসো আদালতের (court) বিচারক। বৃহস্পতিবারই তাঁকে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। মাত্র ৬১ দিনের (61 days) মাথায় সাজা ঘোষণা করল আদালত।
আর জি কর খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। সেই রেশের মধ্যেই জয়নগরের এই নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে আসে। বিক্ষোভ শুরু হয় জয়নগরেও। রাত জাগো কর্মসূচিও হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার দ্রুত বিচারের কথা বলেছিলেন। সিআইডি এই তদন্তের দায়িত্বভার নেয়। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়। সেই ঘটনায় ৬১ দিনের মাথায় এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়। গতকাল আদালত মুস্তাকিনকে দোষী সাব্যস্ত করে।
শুক্রবার আদালতে তোলার সময় সংবাদমাধ্যমের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “আমি কিছু করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”, ‘কে ফাঁসাল?’, এই প্রশ্নের উত্তরে মুস্তাকিন বলেন, “পার্টির তরফে ফাঁসানো হয়েছে।” পরে আদালতে ২ ঘণ্টার সওয়াল-জবাব চলে। ফাঁসির দাবিতে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী।

Advertisements

গত অক্টোবর মাসের ঘটনা। আরজি কর কাণ্ডের আবহেই এক নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি। রাতভর এক নাবালিকাকে খোঁজাখুঁজির পর যখন দেহ উদ্ধার হয়, তখন ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল এলাকাবাসী। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিশকে।

   

পকসো আইনে, খুনের মামলা ও ধর্ষণ-খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। অপহরণের ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রমাণ লোপাটের জন্য সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করল আদালত। এই মামলায় মোট ৩৬ জন সাক্ষী ছিলেন।

Advertisements

গত ৪ অক্টোবর রাতে নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পরের দিন অর্থাৎ ৫ অক্টোবর বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্তকে।৭ অক্টোবর এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়।সিট গঠনের ঠিক ২৩ দিন পর অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর চার্জশিট জমা করা হয় বারুইপুর আদালতে।চার্জশিট জমা পড়ার ৬ দিন পর অর্থাৎ ব থেকে শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। এক মাস পর ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অভিযুক্ত মুস্তাকিন সর্দারকে দোষী সাব্যস্ত করে বারুইপুর পকসো আদালত।