আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার পরিস্থিতি বেশ শুষ্ক থাকতে চলেছে। তবে কিছু জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যা বিশেষভাবে উত্তরবঙ্গের মালদা, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলাগুলির জন্য প্রযোজ্য। এই জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশা থাকবে, যা প্রভাব ফেলবে স্থানীয় যানবাহন চলাচলে এবং দৃশ্যমানতা কমিয়ে আনতে পারে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলা, যেমন ওয়েস্ট বর্ধমান, বীরভূম, এবং মুর্শিদাবাদে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু ঘন কুয়াশার মতো সমস্যা তেমন হবে না।
কলকাতার ক্ষেত্রে, আগামী ৭ দিনে কোনও ঘন কুয়াশার সতর্কতা নেই, এবং এই সময়ে শহরের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। আজ কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা যথেষ্ট শীতল, তবে আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে তাপমাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে, তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমার সম্ভাবনা রয়েছে, যা শীতের অনুভূতি আরও বেড়ে যাবে।
পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, জেলাগুলির মধ্যে হালকা কুয়াশা এবং ঠান্ডা পরিস্থিতি থাকবে, কিন্তু ঘন কুয়াশার প্রভাব খুব বেশি হবে না। তবে, উত্তরবঙ্গের অঞ্চলে ঘন কুয়াশা চলতে থাকলে, এটি আঞ্চলিক চলাচলে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে, ভোরের দিকে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে হবে এবং চালকদের ধীর গতিতে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তবে সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আবহাওয়া বেশ শুষ্ক থাকবে এবং তেমন ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস নেই। শীতের অনুভূতি আরো বাড়ানোর জন্য, তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা গরম পোশাক পরিধান করতে পারেন।
আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা অনুযায়ী, যারা উত্তরবঙ্গে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য বিশেষভাবে ঘন কুয়াশা নিয়ে সাবধান থাকা জরুরি। এছাড়া, যাতায়াতের সময় গাড়ির হেডলাইট ব্যবহার করা এবং স্পিড কমিয়ে চলা উচিত।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে পরিবহন বা অন্যান্য চলাচলে কোনও সমস্যা না হয়। গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক এবং স্বাভাবিক ছিল, তবে এই একদিনের জন্য কিছুটা অসুবিধে হতে পারে।
অতএব, সামনের দিনগুলোতে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে এবং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে বিশেষত ঘন কুয়াশা এবং তাপমাত্রার পতন সম্পর্কে।


